২০২৪ সালে বে টার্মিনাল চালুর ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে টার্মিনালের’ তিনটি টার্মিনাল ২০২৪ সালে চালু হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে সাগর উপকূলে বে টার্মিনালের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনে সাগরপার থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমনিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা এলাকায় এই টার্মিনাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বন্দরের।
বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনে সাগরপার থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমনিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা এলাকায় এই টার্মিনাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বন্দরের।
প্রায় এক দশক আগে এই টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এখনো নির্মাণকাজই শুরু হয়নি। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সব সময় এই টার্মিনাল নির্মাণে তাগিদ দিয়ে আসছে। প্রায় পাঁচ বছর আগে বে টার্মিনাল নির্মাণের কারিগরি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। সেখানেও কারিগরি ও অর্থনৈতিকভাবে এ টার্মিনাল গড়ে তোলার উপযুক্ত বলে মত দেওয়া হয়েছিল।
বে টার্মিনালে প্রথম পর্যায়ে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ হবে। এর মধ্যে একটি টার্মিনাল বন্দরের অর্থায়নে হবে। বাকি দুটি টার্মিনাল হবে পিপিপি মডেল বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বে টার্মিনালে প্রথম পর্যায়ে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ হবে। এর মধ্যে একটি টার্মিনাল বন্দরের অর্থায়নে হবে। বাকি দুটি টার্মিনাল হবে পিপিপি মডেল বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে। এই তিনটি টার্মিনাল ২০২৪ সালের মধ্যে চালু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের পিএসএ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে কি না জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিপিপি মডেলে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য কারও সঙ্গে এখনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। পিএসএসহ অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে প্রস্তাবনা দিয়েছে।
বন্দরের অর্থায়নে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। পরামর্শক নিয়োগ, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হালনাগাদসহ নানা কাজ চলছে।রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর
পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজ বলেন, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ডেনমার্ক ও চীনের প্রতিষ্ঠানসহ অনেকেই বে টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে দেশের জন্য যে বিনিয়োগকারী লাভবান হবে, তাদেরই এই টার্মিনালে বিনিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বন্দরের অর্থায়নে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। পরামর্শক নিয়োগ, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হালনাগাদসহ নানা কাজ চলছে।