অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে সমান শুল্ক সুবিধা দাবি

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে গতকাল রোববার অগ্নিনিরাপত্তা, দুর্যোগ ও বিস্ফোরণ–সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ছবি: এফবিসিসিআইয়ের সৌজন্যে

অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে তৈরি পোশাকশিল্পের মতো অন্য খাতের ব্যবসায়ীরাও সমান শুল্ক সুবিধা দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে গতকাল রোববার অগ্নিনিরাপত্তা, দুর্যোগ ও বিস্ফোরণ–সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানান তাঁরা।

বৈঠকে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামের মতো অতিপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে পোশাকশিল্প বাদে অন্য খাতের উদ্যোক্তাদের উচ্চ হারে কর দিতে হচ্ছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা অনেক সময় পর্যাপ্ত অগ্নি প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এতে যেকোনো সময় কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এ জন্য তৈরি পোশাকশিল্পের মতো অন্য খাতগুলোকেও সমান সুবিধা দিতে হবে।

বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, ফায়ার ডোর, ফায়ার অ্যালার্ম কেব্‌ল, হোস রিল, গেট বাল্ব, ফায়ার পাম্প, অগ্নি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপক, এবিসি ড্রাই পাউডার ইত্যাদি অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম কিনতে পোশাকশিল্পের তুলনায় অন্য ব্যবসায়ীদের বেশি কর দিতে হয়। অথচ প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম আমদানিতে এমন বৈষম্য থাকা উচিত নয়। এ ছাড়া আগুন প্রতিরোধী গ্যাস ও রাসায়নিক আমদানির জন্য আলাদা অনুমতি নিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে তিনি জানান। এটি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী আমদানিকারকদের দেশেই অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে খাতভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরুর সুপারিশ করেন।

কমিটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মোতালেব কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সমস্যা চিহ্নিত ও করণীয় নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়নে শিগগিরই এফবিসিসিআইয়ের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানান।

এফবিসিসিআইয়ের নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে শিল্প খাতে শিগগিরই নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হারুন অর রশীদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদ উদ্দীন, মোহাম্মেদ শাহজাহান, আবুল হোসাইন, এম মাহমুদুর রশীদ, জাকির উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ শামসুল হক, মুহাম্মদ আওলাদ হুসাইন, মোহাম্মদ মনজুর আলম, তানজির আহম্মেদ প্রমুখ।