বন্দর পরিচালন কার্যক্রমকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণাসহ ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর চট্টগ্রামের নেতারা। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলশীর বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করা হলে যখন-তখন ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা বন্ধ করা যাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, চট্টগ্রামের সরকারি কার্যালয়গুলোকে ক্ষমতায়ন করা, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, ঋণ প্রদানে ব্যাংকের চট্টগ্রামের শাখাগুলোর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
চট্টগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ও অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে সংবাদ সম্মেলনে নানা সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেন বিজিএমইএ নেতারা। এ সময় বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এস এম আবু তৈয়ব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে কারখানা স্থাপন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এম এ সালাম বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল হলে তৈরি পোশাকশিল্পে বিপ্লব ঘটবে।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৪ হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭৩৪টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ১ হাজার ৯৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত আছে। চট্টগ্রামে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৩৯৮টি। আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত আছে ১৯০টি কারখানা। করোনায় গত মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে ঢাকায় ২৮১টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এক দশক আগেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চট্টগ্রামের হিস্যা ছিল ৪৯ শতাংশ। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।