মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে এখনই শুল্ক-কর প্রত্যাহার চান ইস্পাত ব্যবসায়ীরা

বিশ্ববাজারে কাঁচামালের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ–সংকটের কারণে দেশে রডের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই ইস্পাত খাতের কাঁচামাল আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ)। আজ বৃহস্পতিবার বিএসএমএ সভাপতি মানোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনার কারণে বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্য ও কাঁচামালের সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইস্পাত বা রডের কাঁচামাল বিশ্ববাজারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় মূল্যবৃদ্ধিসহ সরবরাহ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদেরও। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।’

বিএসএমএ জানায়, ইস্পাত তৈরির প্রধান কাঁচামাল স্টিল ফ্ল্যাপ সিঅ্যান্ডএফের দাম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে স্টিল ফ্ল্যাপের দাম ৫৬৫ ডলার থেকে বেড়ে ৬৮০ ডলার হয়েছে।

বিএসএমএ সভাপতি মানোয়ার হোসেন বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেশের বাজার থেকে ইস্পাত ও রড ক্রয় করে। কিন্তু দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে এখন ঠিকাদারেরা মালামাল ক্রয় করতে পারছেন না। ফলে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণকাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখনই ইস্পাত খাতের কাঁচামাল আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক-কর মওকুফের দাবি জানান তিনি।

পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজার স্বাভাবিক হলে পুনরায় শুল্ক-কর আরোপের পরামর্শ দিয়ে মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন ও সক্রিয় ভূমিকা থাকবে।’

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে রডের দাম নিয়ন্ত্রণে আগামী বাজেটে কর ও ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এখন বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখনই কর ও ভ্যাট মওকুফের দাবি তুলেছেন তাঁরা।