মূল্য সিন্ডিকেট ঠেকাতে হবে

দুই বছর ধরে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটু আগেভাগেই উদ্যোগী হয়েছে। শুনতে পেলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি জেলায় বৃহৎ আকারের কাঁচা চামড়া সংরক্ষণাগার নির্মাণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এ রকম ছোট-বড় ৬০০ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে। কাঁচা চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য উপজেলা পর্যায়ে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ভালো উদ্যোগ। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে তদারকি বাড়াতে হবে। কেননা, তাড়াহুড়া করে সব চামড়া ঢাকায় পাঠানো হয় বলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। লবণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ করা হলে ১০-১২ দিন পর পাঠানো হলেও কোনো সমস্যা হবে না। সংরক্ষণ করতে পারলে কোরবানির পরপরই তা ঢাকা পাঠানোর হিড়িক কমবে। এভাবে সংরক্ষণ করা হলে উপজেলা পর্যায় থেকে ১০-১২ দিনের মধ্যে চামড়া আড়তদারের কাছে আসবে। এরপর দু-তিন মাসের মধ্যে আড়তদারের কাছ থেকে কারখানা পর্যায়ে গেলেও কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বেশি সচেষ্ট হতে হবে, তদারকি বাড়াতে হবে।

কয়েক বছর ধরে মাঠপর্যায়ে কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে একধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাঠপর্যায়ে কাঁচা চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার বক্তব্য হলো, পাঁচ বছর আগেও তো কোরবানি হতো, তখন তো সিন্ডিকেট করে দাম কমানো হতো না। চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট ঠেকানোটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। এবার তাদের তদারকি বাড়াতে হবে।

এম আবু ইউসুফ, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়