আতঙ্কে বেড়েছে বিক্রির চাপ, ৮২% প্রতিষ্ঠানের দরপতন

লকডাউন–আতঙ্কে গতকাল রোববার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি গতকাল এক দিনেই ১০০ পয়েন্ট বা প্রায় পৌনে ২ শতাংশ কমে আবারও ৬ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটিও কমেছে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট বা পৌনে ২ শতাংশ। সূচক কমলেও দুই বাজারেই লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮২ শতাংশেরই দরপতন ঘটেছে। দাম বেড়েছে মাত্র ১৫ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ৩ শতাংশের। আর চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৭ শতাংশের দাম কমেছে, বেড়েছে ১৯ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ৪ শতাংশের।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লকডাউন–আতঙ্ক। তাই লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে বড় ধরনের দরপতন দিয়েই নতুন সপ্তাহের লেনদেন শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের এমন পতন দেখতে হয়নি।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটানা ৬৬ দিন শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল। শেয়ারবাজারে যাঁরা ঋণ করে বিনিয়োগ করেন, লেনদেন বন্ধ থাকলেও তাঁদের ঋণের বিপরীতে সুদ গুনতে হয়। তাই কঠোর লকডাউনে আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এ আতঙ্কে গতকাল অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।