ডিএসইতে বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন

দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে কমছে লেনদেনও। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবার লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার নিচে। আর এ বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্টের মতো কমেছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪২ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বাজারে ৩৩৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল লেনদেন কমে ২৬ কোটি টাকায় নেমেছে।
গত এক মাসের মধ্যে সিএসইতে গতকালই সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বাজারে ২৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। সিএসইর সার্বিক সূচকটি এদিন ১৬ পয়েন্ট কমেছে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে আধিপত্য ছিল ওষুধ, রসায়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর। মোট লেনদেনের প্রায় ১৫ শতাংশ ছিল ওষুধ আর ১৩ শতাংশ ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের।
এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে গতকাল বাজারে শেয়ারের দাম কমেছে বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি আরএকে সিরামিকের। কোম্পানিটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এ খবরে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম সোয়া ২ শতাংশ বা ১ টাকা ৬০ পয়সা কমেছে। ফলে দিন শেষে ডিএসইর দাম কমে যাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল এটি।
একই দিনে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল তালিকাভুক্ত অপর বহুজাতিক কোম্পানি লিনডে বিডি। এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আর প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬৩ টাকা ৭০ পয়সা বা প্রায় সোয়া ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ টাকা।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৯টির, কমেছে ১২২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টির।
অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ৮০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির।