বাজার মূলধন বাড়ল ৫০০০ কোটি টাকা

সপ্তাহের প্রথম দিনেই গতকাল রোববার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়। তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোয়া ১ শতাংশ বা ৮২ পয়েন্ট বেড়ে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে পৌঁছে গেছে। গত দুই দিনের সামান্য পতনের পর এ বড় উত্থান হয়েছে।

ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ভালো ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই মূলত সূচকের এমন উত্থান ঘটেছে। এ কারণে ডিএসইতে গতকাল এক দিনে আবারও চারটি নতুন রেকর্ড হয়েছে।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্সসহ তিনটি সূচক ও বাজার মূলধনে এ রেকর্ড হয়। বাজার মূলধন গতকাল এক দিনে ৪ হাজার ৭১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকায়। আর ডিএসইএক্স সূচকটি ৭ হাজার পয়েন্ট থেকে আর মাত্র দেড় শ পয়েন্ট দূরে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো মৌলভিত্তির ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি ২৮ পয়েন্ট বা প্রায় সোয়া ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে। আর শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস সূচকটিও সোয়া ১ শতাংশ বা ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। ডিএসইএক্স, ডিএস-৩০ ও ডিএসইএস তিনটি সূচকই এখন রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে।

বাজার–সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকায় এখন প্রতিদিনই বাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগ আসছে। সেই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীও যুক্ত হচ্ছেন। তাতে বাড়ছে সূচক, বাড়ছে লেনদেন। এদিকে শেয়ার কেনার বিপরীতে সর্বোচ্চ হারে ঋণ সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে সূচকের অবস্থান ১ হাজার পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ হাজার পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি ৮ হাজার পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা ১০০ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা হারে ঋণ সুবিধা পাবেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তের পর সূচকে নতুন করে গতি সঞ্চার হয়। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৭ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। আর গতকাল দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বেশি।