মূল বাজারে ফেরা ৪ কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা নেই
শেয়ারবাজারে ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) থেকে মূল বাজারে ফিরে আসা চার কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা নেই। ফলে মূল বাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে আজ রোববার কোম্পানি চারটির হাতে গোনা কয়েকটি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। বিক্রেতা না থাকলেও এসব শেয়ার কিনতে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এ কারণে চারটি কোম্পানিরই শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে আজ।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর আজ থেকে মূল বাজারে লেনদেন শুরু হয় মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের। বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়ায় এবং খারাপ কার্যক্রমের কারণে ২০০৯ সালে বিএসইসি কোম্পানি চারটিকে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করে। সম্প্রতি এসব কোম্পানি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে পুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন করে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে প্রথম ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও পরে বিএসইসি কোম্পানিগুলোকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আসার আবেদন অনুমোদন করে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মূল বাজারে ফিরে আসার প্রথম দিনে আজ পেপার প্রসেসিং ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের একটি করে শেয়ারের হাতবদল হয়। শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ বা ১০ শতাংশ করে বেড়ে পেপার প্রসেসিং ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ১৩ টাকা ২০ পয়সায় উঠেছে। কোম্পানি দুটির মধ্যে আজ প্রথম দিনে পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারের সাত লাখের বেশি শেয়ারের ক্রয়াদেশ ছিল। আর তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের প্রায় সাড়ে আট লাখ শেয়ারের ক্রয়াদেশ থাকলেও বিক্রেতা ছিল না।
আর মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের দামও দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকায়। সাড়ে চার ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির প্রায় দুই লাখ শেয়ারের জন্য ক্রয়াদেশ বা ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার অভাবে মাত্র দুটি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে।
মুন্নু ফেবিক্সের দাম ১০ শতাংশ বেড়ে ১১ টাকায় হাতবদল হয়। কোম্পানিটির ১৯ লাখের বেশি শেয়ারের ক্রয়াদেশ থাকলেও হাতবদল হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০১টি শেয়ার। সকালেই এসব শেয়ারের হাতবদল হয়। এরপর দিনভর ছিল বিক্রেতাশূন্য।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল মনোস্পুল পেপার। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংও ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। মুন্নু ফেব্রিকস ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। অন্য তিনটির মতো এটিও ২০০৯ সালে ওটিসি বাজারে স্থানান্তরিত হয়।
মূল বাজারে ফিরলেও কোম্পানি চারটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব শেয়ারের তিন বছরের লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ এ তিন বছর কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের হাতে থাকা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। মূল বাজারে ফেরার পর কোম্পানিগুলোতে যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, এ কারণে এ বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।