শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির কদর নেই, বাজে কোম্পানিতে ঝোঁক

শেয়ারবাজারে একদিকে ভালো মানের শেয়ারের দাম কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে মন্দ মানের কোম্পানির শেয়ার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। এ দরপতনের মধ্যে মন্দ মানের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম কোম্পানিসহ তালিকাভুক্ত ভালো মানের বেশির ভাগ কোম্পানিরই দাম কমেছে। তার বিপরীতে এদিন মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ৩ কোম্পানির তালিকায় ছিল ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস ও সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ। তিন দিন ধরেই এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে গত তিন দিনে ফাইন ফুডসের শেয়ারের দাম সাড়ে ১০ টাকা বা ২৬ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডসের দাম ২৮ শতাংশ বা ৪ টাকা এবং সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের দাম ২৯ শতাংশ বা সাড়ে ৪ টাকা বেড়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ দীর্ঘদিন ধরেই অস্তিত্বসংকটে রয়েছে। ফাইন ফুডস ও ফু-ওয়াং ফুডস গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক চিঠিকে কেন্দ্র করে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। তাই বিএসইসি কোম্পানিগুলোকে এ নিয়ম পরিপালনে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ২৫ কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে ওই সব কোম্পানির শেয়ারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বারবার সময় দেওয়ার পরও সেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা শেয়ার কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁরা এক মাসে নতুন করে আদৌ শেয়ার কিনতে পারবেন কি না, সেটি যথেষ্ট প্রশ্নসাপেক্ষ। অথচ বিএসইসির চিঠিকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের একটি গোষ্ঠী এসব শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও এসব শেয়ারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, এরই একপর্যায়ে বড় বিনিয়োগকারীরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।