৫ শতাংশ লভ্যাংশে ২১ % মূল্যবৃদ্ধি সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ারের

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক দিনে সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ারের। মধ্যম মানের তথা বি শ্রেণিভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ারের দাম গতকাল রোববার এক দিনেই প্রায় ৫ টাকা বা ২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭ টাকা ৩০ পয়সা। তাতে দিন শেষে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি।

লভ্যাংশ ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারের দামের ওপর কোনো ধরনের সীমা বা সার্কিট ব্রেকার আরোপিত থাকে না। এ কারণে ওই দিন শেয়ারের দামের বড় উত্থানের সুযোগ থাকে।

সাধারণত শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি বাড়তে বা কমতে পারে না। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারের দামের ওপর কোনো ধরনের সীমা বা সার্কিট ব্রেকার আরোপিত থাকে না। এ কারণে ওই দিন শেয়ারের দামের বড় উত্থানের সুযোগ থাকে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর গতকাল ছিল সাফকো স্পিনিংয়ের প্রথম কার্যদিবস। সেই সুযোগে গতকাল এটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য মাত্র ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তাতে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির প্রায় ১৬ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার হামিদ ফেব্রিকসের শেয়ারের দাম এক দিনে ১২ টাকা বা ৬৭ শতাংশ বেড়েছিল। সেটিই ছিল গত কয়েক দিন শেয়ারবাজারের আলোচিত ঘটনার একটি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই ধরনের ঘটনা ঘটে বস্ত্র খাতের আরেক কোম্পানি হামিদ ফেব্রিকসের বেলায়। লভ্যাংশ ঘোষণার পর ওই দিন কোম্পানিটির শেয়ারের দামের ওপর কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। তাতে বৃহস্পতিবার এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১২ টাকা বা ৬৭ শতাংশ বেড়েছিল। সেটিই ছিল গত কয়েক দিন শেয়ারবাজারের আলোচিত ঘটনার একটি। গতকাল তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাফকো স্পিনিং।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাত্র ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার ফলে শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এর আগে হামিদ ফেব্রিকসের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কারসাজিকারকদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এ ধরনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই।

এদিকে সাফকোর ২১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির দিনে গতকাল বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৬১ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে আবারও ৭ হাজারে নেমে এসেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট বা পৌনে ১ শতাংশ। সূচকের পাশাপাশি দুই বাজারে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইতে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৭ কোটি টাকা কম। সিএসইতে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭ কোটি টাকা কম।