৫-৩০ কোটি টাকা নিতে পারবে এসএমই কোম্পানি

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান (এসএমই)। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে তারা।

এসএমই খাতের যেসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী, তাদের তালিকা যাচাই–বাছাই করে ডিএসইকে সরবরাহ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো যাতে শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হয়, সে জন্য যৌথভাবে প্রচার-প্রচারণা, সভা-সেমিনার ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করবে ডিএসই ও এসএমই ফাউন্ডেশন।

বিষয়টি নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতের ডিএসই টাওয়ারে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া সমঝোতা স্মারকে সই করেন। ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ভারতের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৬০ শতাংশ। চীন ও জাপানে ৭০ শতাংশ। আর বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশ। এই হার বাড়াতে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের বড় সমস্যা পুঁজিসংকট। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বছরে এ খাতে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়। তবে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণের প্রয়োজন ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজির সংকট সমাধানে এসএমই উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ দিতে বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দুই দফায় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও নানা জটিলতায় বেশির ভাগই সেই সুযোগ নিতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারা তাঁদের জন্য বড় সুযোগ। ব্যাপারটা হলো, দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। ব্যাংকে না গিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।