রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ভ্যাট এখন কত

ছবি: সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপের ফলে এখন রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে খাওয়া যায় না। কিন্তু টেক অ্যাওয়ে বা খাবার কিনে নেওয়া যায়। খাবার কেনার সময় ক্রেতারা একটু খেয়াল রাখবেন। কারণ ১ জুলাই থেকে খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট কমেছে।

শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁয় প্রতি এক শ টাকার খাবারে এত দিন ১৫ টাকা ভ্যাট কেটে রাখা হতো। এখন থেকে ১০ টাকা কেটে রাখার নিয়ম করা হয়েছে। নন-এসি রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়েছে। গত ২৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১ সালের অর্থবিল পাসের সময় এই সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে ভ্যাট প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে।

আগামী কিছুদিন রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুড থেকে খাবার কেনার সময় বিলে আগের মতো নাকি কম হারে ভ্যাট কাটা হচ্ছে, তা আগামী কয়েক দিন খেয়াল রাখবেন। ভ্যাটের রসিদ চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভ্যাট কত কাটছে, তা দেখবেন। যদি আগের চেয়ে কম হারে ভ্যাট কাটা না হয়, তাহলে নতুন ভ্যাট হারের কথা জানান। বেশি ভ্যাট দেবেন না। আবার করোনার বিধিনিষেধ যখন উঠে যাবে, রেস্তোরাঁয় বসে খাবেন, তখনো বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা রহুল আমিন ভ্যাট কমানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, করোনার মধ্যে সব রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বিপদে আছেন। ব্যবসা নেই বললেই চলে। এই ভ্যাট কমানোর ফলে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।

বর্তমানে রাজধানীতে আট হাজার রেস্তোরাঁ আছে। এসব রেস্তোরাঁয় প্রায় কয়েক লাখ কর্মী কাজ করেন। বিদ্যমান ভ্যাট আইনের আওতায় কোনো প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ওপর কোনো ভ্যাট নেই। তবে রাজধানী ও বড় শহরের বহু এসি, নন-এসি রেস্তোরাঁগুলোকে ভ্যাটের আওতায় এনে ভ্যাট আদায়ের নানা উদ্যোগ নিয়েছেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। প্যাকেজ ভ্যাট প্রথা উঠে যাওয়ায় পর রেস্তোরাঁ খাত থেকে ভ্যাট আদায়ের তদারকি বাড়িয়েছেন তাঁরা।