তানভীর সিদ্দিক টিপু
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: পত্রিকা হিসেবে প্রথম আলো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কিংবা সাংবাদিক সমাজ—সবার কাছেই নেতৃস্থানীয়। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রথম আলো সম্পাদকের কাছেও সাংবাদিক সমাজ নেতৃত্ব আশা করে। কিন্তু আপনি কোনো সংগঠনের সাথে যুক্ত নন। এর কি বিশেষ কোনো কারণ আছে?
মতিউর রহমান: প্রিয় তানভীর সিদ্দিক টিপু,
সম্পাদক হিসেবে আমার প্রথম ও প্রধান কাজ প্রথম আলো প্রকাশ করা। সেই কাজ ভালোভাবে করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমিনুল ইসলাম মিলন
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রথম আলো শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি নির্ভুল তথ্যভান্ডারও বটে। প্রথম আলোতে প্রতিদিনই চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ পাতা চাই।
মতিউর রহমান: প্রিয় আমিনুল ইসলাম মিলন,
এখন প্রতি শুক্রবার চাকরি–বাকরি নামে ক্রোড়পত্র ছাপা হচ্ছে। সেখানে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য পরামর্শ থাকে। এ ছাড়া প্রথম আলো ডট কমে চাকরি সেকশনেও এ বিষয়ে নিয়মিত প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ পাওয়া যাবে।
মো. সিরাজুল মোস্তফা
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: নিরপেক্ষতা সাংবাদিকতার একটি অন্যতম অপরিহার্য অনুষঙ্গ। প্রথম আলো সে জায়গায় কতটুকু এগোল?
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. সিরাজুল মোস্তফা,
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রথম আলো কতটুকু অগ্রসর হলো, সে বিচার পাঠকের। আমরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকতে চেষ্টা করি।
হারুনুর রশিদ
রাজবাড়ী, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। শুভেচ্ছা নেবেন। ২০ বছর ধরে প্রথম আলোর সাথেই আছি। প্রথম আলো বস্তুনিষ্ঠ ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কালো বিড়াল ধরিয়ে দিতেই প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে, বলা যায়, সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে জেল খাটতে হয়েছে। এটা কি সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতায় একটা ধাক্কা নয়? আপনি কি মনে করেন না ভবিষ্যতে কেউ অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে একটু হলেও ভয় পাবে? আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন—এই কামনা করি।
মতিউর রহমান: প্রিয় হারুনুর রশিদ,
রোজিনা ইসলামের ঘটনাপরম্পরায় বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় সামনে এসেছে। বিশেষত, রোজিনার মুক্তির জন্য সারা দেশের সাংবাদিক সমাজসহ আপামর জনগণ যেভাবে এককাট্টা হয়েছে, তা বিরল। সেই সঙ্গে সাহসী সাংবাদিকতার জন্য নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড তাঁকে এ বছরের ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ দিয়েছে। তিনি পুরস্কারটি পেয়েছেন সেরা অদম্য সাংবাদিক বা মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট শ্রেণিতে। এটা সকল সাংবাদিকের জন্য অনুপ্রেরণার। ভবিষ্যতে সাংবাদিকেরা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে সাহসী হবেন বলে আমি মনে করি।
মোঃ শাহজাহান আলী
বগুড়া, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রথম আলোকে জিজ্ঞাসার কিছুই নেই। নিঃসন্দেহে বলতে হয় যে প্রথম আলো একটি শ্রেষ্ঠ প্রিন্ট মিডিয়া। সংবাদমাধ্যম হিসেবে যে ধরনের বলিষ্ঠতা ও দেশপ্রেমের পরিচয় অত্যাবশ্যকীয়, প্রথম আলো তার জন্মলগ্ন থেকে সেটি খুব সততা–সাহসের সাথেই করে যাচ্ছে। বর্তমানসহ আগের সব সরকার প্রথম আলোকে বারবার হুমকি-ধমকি দেখিয়েছে। তবু প্রথম আলো মাথা নত করেনি। এ জন্য প্রথম আলোকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়। প্রথম আলোর সমস্ত খবর বস্তুনিষ্ঠ ও জনগুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চাওয়া, প্রথম আলো তার এই বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা চলমান রাখুক। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, মানুষের অধিকার হরণ থেকে শুরু করে সমস্ত অকল্যাণকর বিধির বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হোক। স্থানীয় সরকারের দুর্নীতি, রেলওয়ের দুর্নীতি, পরিবহন সেক্টরের অব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি, স্বাস্থ্য খাতের অরাজকতা, শিক্ষার যে অপূরণীয় ক্ষতি, সেগুলোর ওপর আরও অনুসন্ধানী রিপোর্ট করুক এবং এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় কী—বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের মতামত ও সুপরামর্শ বেশি বেশি করে প্রকাশ করুক। ধর্মান্ধ, জঙ্গিগোষ্ঠী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র তুলে ধরে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখুক।
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. শাহজাহান আলী,
প্রথম আলোর ওপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার যেমনটি চাওয়া, তেমন করে আমরা বস্তুনিষ্ঠ খবর সাহসের সঙ্গে দিয়ে যেতে চাই। বেশ কিছু সেক্টর উল্লেখ করে আপনি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চেয়েছেন। আমরা আপনার মতো আমাদের অগণিত পাঠকের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাব।
আশরাফ উদ্দীন রায়হান
রাজশাহী, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রথম আলোর সঙ্গে যুক্ত সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সত্যি বলতে, বাংলাদেশে প্রচলিত গণমাধ্যমের মধ্যে আমার মতো অনেকেরই আস্থা ও ভরসার শেষ ঠিকানা প্রথম আলো। প্রতিদিন প্রথম আলো পড়া নেশার মতো হয়ে গেছে। তাই আমাদের হলের পত্রিকারুমে দৈনিক একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম আলো পড়ি। আমাকে যেন পড়তেই হয়। অজানা এক মায়াজাল তৈরি করে ফেলেছে প্রথম আলো।
আমার দুটি প্রশ্ন:
১. বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের লেখা ছাপানোর কোনো চিন্তা করা যায় কি না? যদিও চিঠিপত্র বিভাগে অনেকের লেখা ছাপানো হয়; কিন্তু উপসম্পাদকীয় অংশে ছাপানোর ব্যাপারে প্রথম আলো কি অচিরেই কোনো উদ্যোগ নিতে পারবে?
২. খুব সম্ভবত ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম আলো বর্তমানের ফন্টে ছাপানো হচ্ছে। আগের ফন্ট থেকে এই ফন্টে আসার কারণ কী? আর আগের ফন্ট ও বর্তমান ফন্টের নাম কী কী?
মতিউর রহমান: প্রিয় আশরাফ উদ্দীন রায়হান,
প্রথম আলোতে আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলব, নাগরিক সংবাদ নামে আমাদের অনলাইনে একটি সেকশন আছে, যেখানে পাঠকের বা যে কারও লেখা ছাপা হতে পারে। এ ছাড়া মতামত পাতার জন্যও আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন। আর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, পত্রিকার সৌন্দর্য, কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে পড়ার সুবিধা বাড়ানোর জন্য নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতাসম্পন্ন ফন্ট আমাদের তৈরি করতে হয়েছে। এতে ফন্ট ব্যবহারের কারিগরি ও ব্যবহারিক সুবিধাও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমরা ‘আলো’ নামে একটি ফন্ট দিয়ে প্রথম আলো শুরু করেছিলাম। সর্বশেষ ব্যবহার করেছি ‘প্রথমা’ ফন্ট। সেগুলো ছিল পুরোনো প্রযুক্তির আস্কি ফন্ট। এখন আমরা সাধারণভাবে ‘সূর্য’ ফন্ট ব্যবহার করছি। এটি একটি ইউনিকোড ফন্ট। তবে বিশেষ বিশেষ সময়ে শিরোনামে আমরা ‘কাইয়ুম’ নামে একটি নকশি ফন্ট ব্যবহার করে থাকি। প্রথম আলোর প্রথম শিল্প উপদেষ্টা এবং প্রখ্যাত শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এই ফন্টের নাম রেখেছি।
হাসান ফকরুল
ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রথম আলো পত্রিকাটি কোনো দলীয় পত্রিকা?
মতিউর রহমান: প্রিয় হাসান ফকরুল,
প্রথম আলো কোনো দলীয় পত্রিকা নয়। আমরা স্বাধীন, দলনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই।
রাজ আহমেদ
উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন: প্রথম আলোতে প্রতিদিন ‘মুক্তিযুদ্ধ এই দিনে’ ছাপা হয়। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। প্রথমা থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি দিন নিয়ে কোনো বই আছে? যদি না থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বই বের করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
মতিউর রহমান: প্রিয় রাজ আহমেদ,
এ বিষয়ে আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে বই বের করার পরিকল্পনা আছে।
খন্দকার নাজমুস সাদত
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রিয় সম্পাদক মহাশয়,
সালাম নেবেন। আমি প্রথম আলো ই-পেপারের একজন সাবস্ক্রাইবার এবং আমার বাসায় নিয়মিত প্রথম আলো রাখি। আমার ২টি অভিমত—(১) কোনো গ্রাহক যদি ই-পেপার ও প্রথম আলো পত্রিকা একত্রে কেনে, সেখানে কিছু ডিসকাউন্ট রাখা উচিত। (২) প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি সংস্করণ বের করা উচিত।
আমি প্রথম আলোর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
ধন্যবাদ।
মতিউর রহমান: প্রিয় খন্দকার নাজমুস সাদত,
ই–পেপার ও প্রথম আলো একত্রে ক্রয়সংক্রান্ত আপনার প্রস্তাবটি আমরা বিবেচনা করব। আর প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি সংস্করণ আছে। en.prothomalo.com সাইটে গেলে আপনি ইংরেজি সংস্করণটি দেখতে পাবেন।
আলবিনুস সরেন
নাটোর, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: I want more news about Indigenous communities in bangladesh. Because they are powerless . I have written some articles on this topic . How can I send my articles to Prothom Alo?
মতিউর রহমান: প্রিয় আলবিনুস সরেন,
আদিবাসীদের অধিকার এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি আমরা আন্তরিক। আপনার লেখা আমাকেও পাঠাতে পারেন। আমার ঠিকানা: editor@prothomalo.com।
রকি দত্ত
হবিগঞ্জ, সিলেট।
প্রশ্ন: আপনি প্রথম আলো পত্রিকা প্রথমে কী ভেবে খুলেছিলেন? আমি আশাবাদী আমি আমার উত্তর পাব।
মতিউর রহমান: প্রিয় রকি দত্ত,
স্বাধীন, দলনিরপেক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল—এমন একটি পত্রিকা আমরা করতে চেয়েছিলাম।
মো. সামিউল বাশার শান
গাজীপুর, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রথম আলোর সংখ্যা পাওয়া যাবে কি? কোথায় পাব?
আমার আরেকটি প্রশ্ন—চ্যানেল আইয়ের প্রথম জন্মদিন ২০০০ সালের প্রথম আলো একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সে সংখ্যা পাওয়া যাবে কি?
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. সামিউল বাশার শান,
পুরোনো পত্রিকার জন্য আমাদের অফিসে যোগাযোগ করুন। ২০০০ থেকে ২০০২ সালের পত্রিকা পাওয়া যাবে।
মোঃ রকি চৌধুরী
দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: স্যার, আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে প্রথম আলোই প্রথম। সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের কাজ অব্যাহত রাখবেন। সেই সাথে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজের সংবাদ বেশি প্রকাশ করবেন। আর অনেক কৃতজ্ঞতা রইল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা আপার প্রতি।
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. রকি চৌধুরী,
ধন্যবাদ প্রথম আলোর প্রতি আস্থা রাখার জন্য। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজের সংবাদ আমরা সব সময়েই প্রকাশ করি।
মোঃ মিরাত বাবু
রংপুর, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: প্রথমে আমি প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানাই। নিঃসন্দেহে প্রথম আলো বাংলাদেশের সেরা পত্রিকা। আমি প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক, সেটা হোক অনলাইন কিংবা অফলাইনে। কিন্তু আমার মনে হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক ও সম্পাদককে আরও বেশি প্রফেশনাল হওয়া উচিত। আমি জানি, সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করার সক্ষমতা প্রথম আলোর আছে।সেই কাজ যেন আপনারা আরও সৎ ও নিষ্ঠার সাথে করেন, সেটাই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা। ১৬ কোটি বাঙালির আস্থার প্রতিদান দেওয়া আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব।
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. মিরাত বাবু,
প্রথম আলোর সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সাহসী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার জন্য আমরা সর্বদাই সচেষ্ট। আপনি নিশ্চয় লক্ষ করেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আমাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছেন। এর পরও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আবদুর রহিম
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক প্রতিবেদন অনেক কমে গেছে, গবেষণা প্রতিবেদনের সংখ্যাও যেন স্বল্পতার সারিতে ...
মতিউর রহমান: প্রিয় আবদুর রহিম,
রাজনীতির খবরের প্রতি সব সময়েই আমরা গুরুত্ব দিই। তবে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ কমে যাওয়ায় খবরের সংখ্যা কম বলে মনে হতে পারে।
মোঃ আরিফুল হক
কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: অভিযোগ: প্রথম আলো পত্রিকায় প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, যা পত্রিকার প্রায় দুই–তৃতীয়াংশ।
মতিউর রহমান: প্রিয় আরিফুল হক,
প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১২০ কলাম ইঞ্চি জায়গা থাকে, যার ৩৩% বা ৪০ কলাম ইঞ্চিতে বিজ্ঞাপন ছাপানোর টার্গেট থাকে। কিন্তু গত দুই বছরের হিসাব অনুযায়ী, পৃষ্ঠাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপন পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময়ের কাগজ ব্যতিক্রম।
মেহেদি হাসান
বাগেরহাট, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। Congratulations The Daily Prothom Alo for 23rd Anniversary. নিঃসন্দেহে প্রথম আলো দেশের ১ নম্বর নিরপেক্ষ পত্রিকা। আমি এই পত্রিকার সম্পাদক এবং এর সাথে জড়িত সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমি প্রত্যাশা করি, দেশের খবরসহ international news আরও বেশি দেবেন page increase করে। কারণ, প্রথম আলোই একমাত্র পত্রিকা, যেটি থেকে সঠিক সময়ে সঠিক খবর ১০০% পাওয়া যায়।
Thank you.
মতিউর রহমান: প্রিয় মেহেদি হাসান,
প্রথম আলোর সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার চাওয়া অনুযায়ী আন্তর্জাতিক খবরে আরও জোর দেওয়ার চেষ্টা আমরা করব।
রবিউল হাসান
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: Prothom alote chakrir sujog dile kitoggo thakbo—ei 23 yeare ektai chawa.
মতিউর রহমান: প্রিয় রবিউল হাসান,
প্রথম আলোতে কাজ করার জন্য আমাদের পত্রিকায় ছাপা হওয়া বিজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগাযোগ করুন অথবা মানবসম্পদ বিভাগে (hr@prothomalo.com) আপনার একটি হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন।
জান্নাতুল ফেরদৌস
ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। প্রথম আলো আমার অনেক প্রিয়।
আমি লেখালেখি করি, তাই প্রথম আলোর সাথে চলি।
কিন্তু আমাদের মতো নবীন লেখকদের লেখা প্রথম আলোতে প্রকাশিত হওয়ার আরও সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি অনেক লেখা পাঠিয়েছি। দুটি প্রকাশিত হয়েছিল। এ জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু প্রতিবছর নতুন লেখকদের লেখা প্রকাশের ব্যবস্হা রাখলে অনেক ভালো হতো। চাই, এ ব্যপারে প্রথম আলো দৃড় ভূমিকা রাখুক; বিশেষ করে আমাদের পাঠানো লেখাগুলো আপনারা পেয়েছেন কি না, তা জানতে চাইলে উত্তর দিলে আমরা আশ্বস্ত হই। আশা করি, তৃণমুল পর্যায়ের নবীন লেখকদের জন্য প্রথম আলো আরও উদ্যোগী হবে।
মতিউর রহমান: প্রিয় জান্নাতুল ফেরদৌস,
লেখা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় বিষয়ভিত্তিক ও মানসম্মত লেখা। আপনার দুটি লেখা ছাপা হয়েছে; অভিনন্দন আপনাকে। লেখার প্রাপ্তি স্বীকারের বিষয়টি আমাদের চেষ্টায় থাকে। না হয়ে থাকলে দুঃখিত।
ছালে আহমেদ শিপন
নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
প্রশ্ন: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো একসময় বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ের ওপর নিয়মিত গোলটেবিল বা সংলাপের আয়োজন করত। বর্তমানে সেটা দেখা যাচ্ছে না । কারণটা কী?
মতিউর রহমান: প্রিয় ছালে আহমেদ শিপন,
করোনা অতিমারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে গোলটেবিল বৈঠক বা সংলাপের আয়োজন ভার্চ্যুয়ালি বেশি হয়েছে। তবে কয়েক মাস ধরে শারীরিক দূরত্ব মেনে আবারও গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে।
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: মতামত: দেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের সুসময়-দুঃসময়ে প্রথম আলোর ভূমিকা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে সময়ে সময়ে সংবাদপত্রকে মুখোমুখি হতে হয় কঠিন পরিস্থিতির। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলো তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিল বলা যায়। এর পরও চেষ্টার কমতি না থাকলেও নানা কারণে অনেক কিছুকে এড়িয়ে যেতে হয়, কাটছাঁট করতে হয় খবর পরিবেশনে। সবকিছু ছাপিয়ে মানুষ যেন সঠিক ও প্রকৃত তথ্য জানতে পারে, সে ধরনের চেষ্টা প্রথম আলো অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি। মানুষের মন-মননে দেশ ও জাতির প্রতি যেন দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের উন্মেষ ঘটে, সে জন্য ভূমিকা রাখবে প্রথম আলো, সে প্রত্যাশা থাকবে সব সময়। প্রথম আলো আলোর পথে অভিযাত্রা অবিরত রাখুক সত্য ও সাহসকে সাথে নিয়ে।
মতিউর রহমান: প্রিয় কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম,
সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সর্বক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই। সে জন্য মানুষের মন–মননে দেশ ও জাতির প্রতি যেন দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের উন্মেষ ঘটে, আপনার মতো সে চাওয়া আমাদেরও।
আসিফ সাদিক
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
প্রশ্ন: বর্তমান বাংলাদেশই কি প্রথম আলো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? কিছু বিষয়ে তারা সরব আর কিছু বিষয়, যা দেশের জন্য এবং যার জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সেসব বিষয়ে চুপ থাকাই কি গণমাধ্যমের কাজ! আর বাংলাদেশে এখন কি গণমাধ্যম, মানে সংবাদপত্রের দরকার আছে?
মতিউর রহমান: প্রিয় আসিফ সাদিক,
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাগুলো আঁকড়ে ধরে আমাদের পথচলা। আমাদের সকল কাজের মূলে একটাই লক্ষ্য, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের একটাই চাওয়া: সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয়। দেশের বৃহত্তম গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই লক্ষ্যে আমরা আমাদের কর্তব্যে অটল আছি এবং থাকব।
মোঃ এনামুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি, আপনি ভালো আছেন।
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গ্রামে বসবাস করি। আমার বাবা–মায়ের সাথে আমার বড় ভাইয়ের বউয়ের পারিবারিক সমস্যা হয়। এরপর আমার ভাই আর ভাবি বাবা ও মায়ের নামে দুটি মামলা করে।
তার পরও তারা থেমে থাকেনি; আজ থেকে দুই বছর আগে তারা অপরিচিত চার ও আমাকে তিন নম্বর আসামি করে খিলগাঁও থানায় গণধর্ষণ মামলা করে। মামলা করার ১৫ মাস পর আমি গ্রেপ্তার হই। ২৫ দিন পর আমি জামিনে মুক্তি পাই।
অপরাধ না করেও জেলে যাওয়ার পর থেকে আমার জীবনযাত্রা–পড়াশোনার মান সব অবনতির দিকে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় আমি মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছি। প্রায় এক বছর হলো আদালতে হাজিরা দিতে ঢাকায় যাই। এর আগে কোনো দিন ঢাকায় যাইনি।
২ ডিসেম্বর আমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, ২৩ নভেম্বর আমার আদালতে হাজিরা দিতে হবে। পরীক্ষার সামনে এগুলোর জন্য আমি মানসিকভাবে নিরুৎসাহিত হয়ে যাচ্ছি।
আমি এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনে প্রথম আলোর সাহায্য চাই।
ভালোর সাথে আলোর পথে চলতে চাই।
আপনি আমাকে আশাহত করবেন না।
মতিউর রহমান: প্রিয় মো. এনামুল ইসলাম,
বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আপনার বিষয়টি খোঁজখবর করে পত্রিকায় ছাপানোর চেষ্টা করব।
অনীক খান
গাইবান্ধা, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: দীর্ঘ ১৫ বছর হলো আমি নিয়মিত প্রথম আলো পড়ি। আগের মতো সম্পাদকীয় কলাম পাই না! এটা খুব দুঃখজনক। ম্যাগাজিনগুলো আগের মতো সমৃদ্ধ নয়। প্রতিদিন আমরা মূল পত্রিকার সাথে বিভিন্ন বিষয়ের ম্যাগাজিন চাই।
মতিউর রহমান: প্রিয় অনীক খান,
লেখার বিষয়ের বৈচিত্র্য ও মান বৃদ্ধির চেষ্টা আমরা সব সময় করে যাচ্ছি। তার পরও আপনার প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না জেনে আমরা দুঃখিত। আপনার উত্থাপিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমরা আরও জোর দেব। আর সপ্তাহে ৩ দিন এখন মূল পত্রিকার বাইরে ক্রোড়পত্র ছাপা হচ্ছে। অন্যান্য দিনের ক্রোড়পত্রগুলো মূল পত্রিকার মধ্যেই প্রকাশিত হচ্ছে।
আকাশ
সাভার,ঢাকা
প্রশ্ন: আগে প্রথম আলোতে রস+আলো নামক ক্রোড়পত্র দেওয়া হতো প্রতি সোমবার। কিন্তু এখন দি–তিন বছর ধরে অন্য সব ঠিকমতো ছাপা হলেও রস+আলো দেওয়া হচ্ছে না। আবার রস+আলো পড়তে চাই।
আমার আরেকটি প্রশ্ন, পত্রিকার নাম ‘প্রথম আলো’ রাখার কারণ কী?
মতিউর রহমান: প্রিয় আকাশ,
আমাদের পত্রিকার নামকরণের সময় এক বন্ধু ‘প্রথম’ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। অপর এক বন্ধু প্রথমের সঙ্গে ‘আলো’ শব্দটি যুক্ত করে ‘প্রথম আলো’ নাম প্রস্তাব করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও কবিতার প্রথম আলো শব্দ দুটি তাঁর মনে হয়তো ছিল।
ডাঃ হুমায়ুন কবীর রুশাদ
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। আমার প্রশ্নটা খুব সাধারণ, তবে কিঞ্চিৎ প্রাসঙ্গিক; বাংলাদেশের মতো দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা কতটুকু সম্ভব হয়? এখানে মূল চ্যালেঞ্জটা কী? আদর্শ সাংবাদিকতার তুলনীয় জায়গায় আমরা কতটা পিছিয়ে? আমরা কতটা পেশাদার হতে পেরেছি? আমার প্রত্যাশা, প্রথম আলো কখনো আপস করবে না,কখনো সত্য বলতে, লিখতে পিছপা হবে না।
মতিউর রহমান: ডাঃ হুমায়ুন কবীর রুশাদ,
স্বাধীন সাংবাদিকতার বিষয়টি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি নিশ্চয় লক্ষ করেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে নানা বাধা আসে। সেসব বাধা পার হয়ে আমরা এগিয়ে যাই। আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে আমরা একমত; প্রথম আলো কখনো আপস করবে না। সত্য বলতে বা লিখতে পিছপা হবে না।
হাসান ইকবাল
উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন: প্রিয় সম্পাদক,
শুভসময়। শুভেচ্ছা জানবেন। খুব ভালো লাগছে যে প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাকে লিখছি। আমার জীবনের তারুণ্যের সময়টাতে প্রথম আলোর জন্ম হয়েছিল। সেই অবধি প্রথম আলোর সাথেই আছি। এখন আমার কন্যা শেহ্জাদী ফারহা অর্থিও প্রথম আলোতে গল্প লেখে, প্রথম আলো পড়ে।
কোভিডের কারণে ঘরবন্দী আমাদের শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন ডিভাইসে। গেমস, টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকে কাটাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আমি বাংলাদেশের অনেক গ্রাম ঘুরেছি। দেখেছি যে শিশুদের জন্য কোনো সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম নেই, শিশুদের জন্য কোনো পাঠাগার নেই। মোবাইল, ট্যাব ছেড়ে দিয়ে যেখানে এসে তারা সময় কাটাতে পারবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য এই অভাববোধটা আমাকে খুব পীড়িত করে। এই অভাববোধ থেকে আমি আমার নিজের গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছি গ্রাম পাঠাগার (http://grampathagar.wordpress.com/)। এই শিশুতীর্থে এসে শিশুরা বই পড়তে পারবে, ছবি আঁকতে পারবে, চলচ্চিত্র দেখতে পারবে, কম্পিউটার চালানো শিখতে পারবে। পাঠাগারের আরেকটা অংশ থাকছে আইসিটি লার্নিং, তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। গ্রামের দরিদ্র মানুষ যাতে অনলাইনে চিকিৎসাসেবা নিতে পারে।
প্রথম আলো'র ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনার কাছে জানতে চাই শিশুতোষ গ্রাম পাঠাগার নিয়ে আপনার ভাবনা।
আর আপনার কাছে প্রত্যাশা গ্রাম পাঠাগারের নানামুখী শিশুভাবনা নিয়ে আমিও প্রথম আলোর পাঠকদের জানাতে চাই।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
হাসান ইকবাল
সেক্টর-৫, উত্তরা, ঢাকা।
মতিউর রহমান: প্রিয় হাসান ইকবাল,
আপনার গ্রাম পাঠাগারের উদ্যোগের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার শিশুভাবনা পাঠকদের জানাতে চাইলে লিখে পাঠান।
রুহুল কাদের আজাদ
চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: Why popular feature page 'STADIUM' is closed? Why most popular sports journalist Utpal Shuvro is not with the most popular daily?
মতিউর রহমান: প্রিয় রুহুল কাদের আজাদ,
স্টেডিয়াম ক্রোড়পত্র বন্ধ হলেও ক্রীড়ার খবরের প্রতি আমরা সব সময়েই জোর দিয়েছি। উৎপল শুভ্র আমাদের সঙ্গে এখন কাজ করছেন না; তবে তিনি এখনো আমাদের বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনাকে ধন্যবাদ।
সৈয়দ রবিউস সামস
খিলগাঁও, ঢাকা
প্রশ্ন: দৈনিক প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশের এই ‘স্ট্রং মিডিয়া’ পরিবারকে আমার নিরন্তন শুভেচ্ছা। সেই সাথে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডে বছরের ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পাওয়ায় আমার এ প্রিয় পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে অভিনন্দন।
যাহোক, আমি মোটামুটিভাবে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত প্রথম আলো পড়ি। সকালে পত্রিকাটি খুলে লিড নিউজগুলো দেখে সম্পাদকীয় পাতায় চলে যাই। তারপর আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্য পাতায়। তার পরই যে বিষয় খুঁজতে থাকি, তা হলো তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন। প্রথম আলোর মুদ্রণ কাগজে আগে তথ্যপ্রযুক্তি শীর্ষক ৩/৪ কলামের একটি কর্নার থাকত। সেখান থেকে কিছুটা তৃষ্ণা মেটাতাম। এখন সেটা ছাপানো হয় না। উদ্যোক্তা উন্নয়ন নিয়ে প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসানের কিছু লেখা পাই, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা আপ্রতুল। খেলাধুলার পাতা দুই পৃষ্ঠা পড়া আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়। এ ক্ষেত্রে খেলাধুলার জন্য দেড় পাতা করে তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন আধা পাতা করলে ভালো হয়। আমার বিশ্বাস, তরুন প্রজন্মের অনেকেই আমার মতো প্রযুক্তি–উৎসাহী।
তাই প্রথম আলোর সম্মানিত সম্পাদকে কাছে আমার বিনীত আবেদন, তথ্যপ্রযুক্তি ও তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন, ফিচার ও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হোক। ধন্যবাদ।
মতিউর রহমান: প্রিয় সৈয়দ রবিউস সামস,
প্রথম আলোর সঙ্গে থাকার জন্য এবং শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার চাওয়ার প্রতি সম্মান রেখে তথ্যপ্রযুক্তি এবং তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে আরও বেশি বেশি প্রতিবেদন, ফিচার ও সাক্ষাৎকার প্রকাশের চেষ্টা আমরা করব। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আসমাউল হাসান
বাসাবো, ঢাকা
প্রশ্ন: সাংবাদিকতা সব সময়ই কঠিন এক পেশা। বাংলাদেশে কখনোই সাংবাদিকেরা ঝুঁকিমুক্ত ছিলেন না। এখনো নেই।
শুরুর দিকে প্রথম আলো নিরপেক্ষ হয়ে সরকারের বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত, অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখত। প্রতিবাদ করত। এখন কেন সে রকম দেখা যায় না? ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও ধর্মীয় সহিংসতার মতো ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের অবহেলার ঘটনায় প্রথম আলো কেন আগের মতো প্রতিবাদ করে না? কথা বলে না?
মতিউর রহমান: প্রিয় আসমাউল হাসান,
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জটা বোঝেন। সব সময়ই আমরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তবে আমরা ততটুকু লিখতে পারি, যতটুকু প্রমাণ করা যায়।
শান্ত ইসলাম
ময়মনসিংহ
প্রশ্ন: আমি কি প্রথম আলোর কোনো রিপোর্টার হতে পারব বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারব?
মতিউর রহমান: প্রিয় শান্ত ইসলাম,
প্রথম আলোর রিপোর্টার বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার জন্য আমাদের পত্রিকায় ছাপা হওয়া বিজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগাযোগ করুন। অথবা মানবসম্পদ বিভাগে (hr@prothomalo.com) আপনার একটি হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন।
অগি রেমবো
চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন: প্রথম আলোয় বিনোদন অংশে অপসংস্কৃতির কিছু না দেওয়া, সম্পাদকীয় মন্তব্যের মান আরও ভালো হওয়া (আন্তর্জাতিক মানের), পড়ালেখার অংশ আরও সৃজনশীল করা, অলিম্পিয়াডের অনেক প্রশ্নোত্তর দেওয়া, আন্তর্জাতিক খবর আরও বাড়ানো, খেলাধুলায় ক্রিকেট ও ফুটবলের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন খেলার খবর দেওয়া। পুরো খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের অংশ কমানোর কারণ মনে হয় অর্ধেক পত্রিকা বিজ্ঞাপনে ভর্তি থাকা। কোনো ভুয়া খবর না ছড়ানো, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা। দরিদ্র–মেধাবী শিক্ষার্থীদের খবর তুলে আনা। কৃষি ও প্রকৃতি নিয়ে খবর তৈরি।
মতিউর রহমান: প্রিয় অগি রেমবো,
আপনি বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। পত্রিকার লেখার বিষয় ও মান বৃদ্ধির জন্য আমরা সচেষ্ট। দরিদ্র–মেধাবী শিক্ষার্থীদের খবর আমরা দিই; সেই সঙ্গে তাদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করি প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে। যাহোক, আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনার উত্থাপিত বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করব।
মোহাম্মদ সেলিম
চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: প্রথম আলোর আমি একজন নিয়মিত পাঠক। মনে নেই কখন থেকে প্রথম আলো পড়ছি। শুধু এটুকু বলতে পারি, প্রথম আলোর সাথে থাকার সময়টা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। যা কিছু আমার পছন্দ, তার সবটুকু আমি প্রথম আলোতে পাই। প্রথম আলোর ফিচারগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। বিশেষ করে শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকী আমার খুব পছন্দ। কিন্তু সাহিত্য সাময়িকীর পাতার সংখ্যা খুবই কম। একসময় প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে ধারাবাহিক উপন্যাস ছাপানো হতো। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে ধারাবাহিক উপন্যাস ছাপানো হচ্ছে না। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে প্রথম আলো ধারাবাহিক উপন্যাস ছাপাবে।
প্রথম আলোর ২৩ বছর পূর্তিতে প্রথম আলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।
মতিউর রহমান: সম্মানিত পাঠক,
প্রথম আলোর সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুক্রবারের ক্রোড়পত্রের পাশাপাশি আমরা অনলাইনেও অন্যআলো নামে সাহিত্যের বিষয়াবলি প্রকাশে জোর দিয়েছি।