নন ক্যাডার থেকে চিকিৎসক নিয়োগের দাবি

চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে অপেক্ষমাণ ৮ হাজার ৩৬০ জনকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগের দাবি তুলেছেন উত্তীর্ণ চিকিৎসকেরা
চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে অপেক্ষমাণ ৮ হাজার ৩৬০ জনকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগের দাবি তুলেছেন উত্তীর্ণ চিকিৎসকেরা

চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে অপেক্ষমাণ ৮ হাজার ৩৬০ জনকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগের দাবি তুলেছেন উত্তীর্ণ চিকিৎসকেরা। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পর্যাপ্ত পদ না থাকার কারণে এই ৮ হাজার ৩৬০ জন উত্তীর্ণ চিকিৎসককে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। অথচ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চিকিৎসাসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বর্তমানে প্রবল চিকিৎসক-সংকট মেটাতে নন ক্যাডার চিকিৎসকদের ক্যাডারভুক্ত করা সময়ের দাবি। নতুন পদ সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন কোনো বিষয় নয় বলে জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিসিএস স্বাস্থ্য চাকরিতে যোগদান করা চিকিৎসকেরা এই বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন। তখন সৃষ্ট সংকট মেটাতে এখনই নন-ক্যাডারদের পদায়ন প্রয়োজন। দেশে এখন মোট ১২ হাজার ৮২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে। যেখানে সপ্তাহে ১ দিন চিকিৎসক যাবে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ১ জনের পক্ষে সম্ভব নয়। এই নন ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্তকরণ এই পদক্ষেপে রাখতে পারে অনেক বড় অবদান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি অনুসারে জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও ৬৫ হাজার চিকিৎসকের প্রয়োজন হলেও আদতে ২৪ হাজারের মতো চিকিৎসক কর্মরত আছেন। তাই নন ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকদের পদায়ন করা আবশ্যক। প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক থাকার দরকার হলেও সেই অনুপাতে সরকারি মেডিকেল শিক্ষক নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞান হলো হাতে-কলমে শেখার বিষয়। সরকার তথা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারবেন, ততই মঙ্গল।

নন ক্যাডারে থাকা চিকিৎসকেরা বলেন, বিষয়টির সঙ্গে শুধু ৩৯তম বিসিএসের ভাইভাসহ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন জড়িত নন, বিষয়টির সঙ্গে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল ৮০ শতাংশের অধিক মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উপরন্তু, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সব পরীক্ষা এবং আনুষঙ্গিক শর্ত পূরণ ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিপুল চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া আগামী অন্তত ৩ বছরের মধ্যে সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায়, চিকিৎসকদের জন্য বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থী সরকারের সদিচ্ছা পূরণে নিকটবর্তী সহায়ক শক্তি হিসেবে বিরাজমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজন সিনহা ও উম্মে হুমায়রা।