নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ হবে ৮৫০ চিকিৎসক

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

চিকিৎসকদের বিশেষ বিসিএস ৩৯ তম থেকে অপেক্ষমাণ নন ক্যাডার থেকে প্রায় ৮৫০ জন চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদা পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন(পিএসসি)। পিএসসির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে পিএসসির দায়িত্বশীল সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, একটি তালিকা থেকে ৩৫০ জন ও আরেকটি তালিকা থেকে ৫০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য শূন্য পদের তালিকা পাওয়া গেছে। মোট ৮৫০ জনের ওই এই তালিকা পিএসসিতে এসেছে। নন ক্যাডার থেকে তাদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

২০১৮ সালে ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।

এই বিসিএসের ৮ হাজার ৩৬০ জন ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। অবশ্য পিএসসি ৩৯ বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশের আগে ওই বিসিএস থেকে প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক বেশি নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। তবে এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাড় দেয়নি।

সম্প্রতি নন ক্যাডারের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ওই প্রতিনিধি দলের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, আমরা নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ পেতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। ওই প্রতিনিধি দল আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা বললেও মন্ত্রণালয় অর্ধেক চিকিৎসকও নিয়োগ দেয়নি। সারা দেশেই চিকিৎসক সংকট। অনেকে অবসরে গেছেন। সেখানে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। আমাদের কথা বিবেচনা করে নিয়োগ দিলে চিকিৎসক সংকট অনেকটাই সামাল দেওয়া সম্ভব।

৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৮ ডিসেম্বর তাঁরা যোগদান করেছেন। পরে তাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পদায়ন করা হয়েছে।