৪১তম বিসিএসে আবেদনকারী ৪ লাখ ৭৫ হাজার

৪১তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। এই বিসিএসে আবেদনের শেষ দিন ছিল আজ শনিবার। শেষ সময় আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর আগে ৪০তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক ৪ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেছার উদ্দিন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যা রেকর্ড। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজর ৮১৬ জন প্রার্থী ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করেছেন। ফি দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন নিবন্ধন করা আরও ১ লাখের বেশি প্রার্থী। আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে। তাঁর ধারণা, এবার মোট আবেদনকারীর সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

পিএসসি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ৪০তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ওই বছর ৪ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। সেটাই ছিল বিসিএস পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি আবেদনের রেকর্ড। এবার ওই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে বিভিন্ন পদে ২ হাজার ১৩৫ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে।

শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে।

পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জনকে নেওয়া হবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।

সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) হিসেবে ১৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।

আবেদনকারীর সংখ্যা এত বাড়ার কারণ কী? জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, বিসিএসের প্রতি তরুণদের আগ্রহ ও আস্থা বাড়ছে। এ কারণে এবার যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, এর আগে ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ৩৭তম বিসিএসে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী।