প্রাথমিকের ৩২,৫৭৭ পদের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা দ্রুতই

প্রাথমিকের ৩২৫৭৭ পদের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা দ্রুতই
ছবি: চাকরি বাকরি

করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের দিকে। ১৮ মাস পরে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চলছে ক্লাস। পিএসসি ও ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। ২৯ অক্টোবরে প্রায় ৪ লাখ প্রার্থীর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪১তম বিসিএসের আটকে থাকা লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথাও ভাবছে পিএসসি। এরই মধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা কবে হতে পারে তা জানাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে ডিপিই।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ হয় গত বছরের ২৪ নভেম্বর রাতে। এর পরের ৭২ ঘণ্টা সময় ছিল পেমেন্ট করার জন্য। পেমেন্ট শেষে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী ৩২ হাজার ৫৭৭ পদের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক (নিয়োগ) হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আতিক এস বি সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে ডিপিই। কবে হতে পারে নিয়োগ পরীক্ষা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দ্রুতই পরীক্ষা নেওয়ার চেস্টা করছি আমরা।’

বেশি আবেদন ঢাকা বিভাগে

ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ টি, রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০ টি, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ টি, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬ টি, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬ টি, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪টি, সিলেট ৬২ হাজার ৬০৭টি এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬ টি। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন।


আবেদনের সুযোগ ৩০ পার হলেও

প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ যাঁদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, সরকারি চাকরিতে তাঁদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, গত বছরের ২০ অক্টোবরে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চে ৩২ বছর ছিল।

শিক্ষকে প্রতি পদের জন্য লড়বেন ৪০ জন

সহকারী শিক্ষকের পদ ৩২ হাজার ৫৭৭টি। এসব পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১৩ লাখের কিছু বেশি। এতে একটি পদের জন্য চাকরিপ্রত্যাশী ৪০ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।