সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
ছবি: সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যে প্রার্থীদের শ্রুতলেখক প্রয়োজন, তাঁদের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) থেকে শ্রুতলেখক নিয়োগ দেওয়া হবে।

শ্রুতলেখক পেতে প্রার্থীদের আবেদন করার এ আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁদের শ্রুতলেখক প্রয়োজন হবে, তাঁদের ১৫ জুনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

অফিস চলাকালে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকার দপ্তরে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত কাগজ জমা দিতে হবে

ক. অনলাইন আবেদনপত্রের (BPSC Form-1) কপি ও প্রবেশপত্র।
খ. প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি দুই কপি।
গ. শ্রুতলেখকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত ডাক্তারি প্রত্যয়নপত্র।
ঘ. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।

এসব কাগজপত্রসহ ১৫ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালে আবেদন না করলে শ্রুতলেখক নিয়োগ করা হবে না। শ্রুতলেখকের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে কেবল কর্ম কমিশন থেকে প্রদত্ত অনুমোদিত শ্রুতলেখকের সহায়তায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

৪৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৪ জুলাই শুরু হবে, চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা আগামী ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।

৪৩তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে তিন দফায় ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়িয়েছিল পিএসসি।
এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।