প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল ২২ জেলায়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সারা দেশে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুই ধাপে নেওয়া হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা ২২ এপ্রিল ২২টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলায় শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০-এর লিখিত পরীক্ষা ২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো-ঢাকা, গাজীপুর, চাপাইনবাগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট।

যেসব জেলার কিছু উপজেলায় পরীক্ষা নেওয়া হবে সেগুলো হলো- যশোর (ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা), সিরাজগঞ্জ (উল্লাপাড়া, বেলকুচী, চৌহালী, কামাখন্দ, কাজীপুর), ময়মনসিংহ (ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ), নেত্রকোণা (আটপাড়া, বারহাট্টা, দূর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া), কিশোরগঞ্জ (অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি), টাঙ্গাইল (সদর, ভুয়াপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, গোপালপুর), কুমিল্লা (বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি) ও নোয়াখালী (কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমড়ি, সূবর্ণচর)।

সহকারী শিক্ষক পদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এপ্রিল মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। সে হিসাবে ১টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা হবে ২৯ প্রার্থীর মধ্যে।
সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বিভাগে—২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯টি। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪, সিলেটে ৬২ হাজার ৬০৭ এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬টি।