পাতাঝরা বনে

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

সূর্যি মামা হেলে গেছে পুব আকাশের গায়, 

বনের বৃক্ষ মিষ্টি রোদে শীতের ছোঁয়া পায়।
হিম হিম এক শীতল হাওয়া ঘুরছে বনময়,
গাছগাছালির সবুজ পাতা কমলা হলুদ হয়।
সন্ধ্যারাতের হিমেল হাওয়া আবির মাখিয়ে যায়,
কমলা মেরুন হলদে পাতা ঝরার আভাস পায়।
হেমন্তের এক সাত সকালে ঝরো হাওয়া এসে,
বনের পাতা ঝরাতে থাকে রুদ্র ভয়াল বেশে।
ম্যাপল গাছের রঙিন পাতা ঝরতে নাকো চায়,
তবুও ঝরে গাছের নিচে মনের কষ্টে হায়।
ওকের পাতা সুর করে বলেছিলাম বড়ই সুখে,
উদাস হাওয়ায় ঝরে গিয়ে পড়লাম একি দুঃখে।
উইলো গাছের ঝুলন পাতা মুখটি মলিন করে,
হালকা হাওয়ায় পড়ছে ঝরে ধূসর ঘাসের পরে।
চেরি গাছের সবুজ পাতাও লালচে হতে থাকে,
ভাবছে সে এই দুঃখের কথা বলবে ডেকে কাকে।
বাসউড গাছের ডালে আছে দুই চারটি পাতা,
চিরহরিৎ পাইন বনে মেলেছে সবুজ ছাতা।
ঝরবে বলে সিডার পাতা কুঁকড়ে আছে তাই,
সবার মতো তারও যে হবে মাটির বুকে ঠাঁই।
অ্যাসপেন ও বার্চের পাতা চুপটি করে ঝরে,
মনের ব্যথা ককিয়ে ওঠে বনের বৃক্ষের তরে।
ঝরা পাতা গাছের তলায় সাজায় বিছানা,
দুঃখ ভারে তাকিয়ে দেখে রাতের জোছনা।
হঠাৎ হাওয়ার ঘূর্ণি এসে নেয় যে তাদের দূরে,
মর মরে সব শুকনো পাতা কাঁদে করুন সুরে।

*রানা টাইগেরিনা, টরন্টো, কানাডা। ইমেইল: <[email protected]>

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত