টোকিওতে বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের কথা

মঞ্চে আলোচক ও অতিথিরা
মঞ্চে আলোচক ও অতিথিরা

ডিসেম্বর এলেই বিজয়ের সাজে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। উৎসবের সেই আনন্দের মাঝে আবার গাঁথা আছে বেদনার করুণ সুর। যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা। যাদের নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্যে দিয়ে বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর জামায়াতিরা বাংলাদেশকে করে দিতে চেয়েছিল প্রতিভাশূন্য। ডিসেম্বর আমাদের আরও মনে করিয়ে দেয় সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, যাদের ত্যাগ আর দৃঢ়তা এনে দিয়েছিল আমাদের জন্য মুক্তির স্বাদ।

মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনাচ্ছেন এনায়েত উদ্দিন মোহাম্মদ কায়সার খান
মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনাচ্ছেন এনায়েত উদ্দিন মোহাম্মদ কায়সার খান

বিজয়ের মাসে প্রবাসী তরুণদের কাছে আমাদের ইতিহাসের সেই দিকগুলোর বিবরণ প্রত্যক্ষদর্শী আর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মুখ থেকে শুনতে পারার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল জাপানপ্রবাসী একদল তরুণ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বছর কয়েক আগে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়। এদের আমন্ত্রণে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া দুই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিন্ন খাতের এক অংশীদার ও বঙ্গবন্ধুর একসময়ের কাছের মানুষ বাদশাহ মিয়ার ছেলে ১০ ডিসেম্বর অনাড়ম্বর এক আয়োজনে সমবেতদের শুনিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা। আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়া অগ্র সেনাদের গল্প।

বক্তব্য দিচ্ছেন জিয়াউল আবেদিন
বক্তব্য দিচ্ছেন জিয়াউল আবেদিন

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান খোকন নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মারক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর জিয়াউল আবেদিন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উদ্দিন মোহাম্মদ কায়সার খান ও জাপানপ্রবাসী সাংবাদিক মনজুরুল হক। মরহুম বাদশাহ মিয়ার ছেলে বাবার অবদানের উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। জাপানপ্রবাসী তরুণ সোহেল রানা ও রাসেল মাঝির যৌথ উপস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. শাহরিয়ার মোহাম্মদ শামস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনালস জাপানের মহাসচিব ডা. উবায়দুস সোবহান।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে প্রাণবন্ত অংশ ছিল দুই মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ। এ সময় দর্শক-শ্রোতারা পিন-পতন নীরবতার মধ্য দিয়ে শুনে গেছেন আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়ের অজানা নানা কথা। যা তাদের মনে নতুন করে সঞ্চারিত করেছে জাতি হিসেবে আমাদের গর্ব বোধ করার প্রেরণা।