দুবাইয়ে বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য
বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য

প্রতি বছরের মতো এবারও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজন করে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণের। গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বর্ষবরণের দিনব্যাপী এই উৎসব আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে প্রবাসীদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি আর মিলনমেলায় মুখরিত ছিল বাংলাদেশ কনস্যুলেট অঙ্গন। বিকেল ৪টায় ফিতে কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান।

বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য
বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য

মেলায় বৈশাখী হালুয়া, নকশি পিঠা, চন্দ্রপুলি, মৌচাক পিঠা, ফুলঝুড়ি, নারকেলের নাড়ু, বেসনের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, খুদের মোয়া, বিন্নি চালের পিঠা, নারকেলের পুলিসহ নানা মিষ্টান্ন রসনা বিলাসী খাবার প্রবাসীদের মন জয় করে। মেলায় ছিল নানা ধরনের ২৫টি স্টল। নিজেদের দেশকে তুলে ধরতে স্টলে ছিল বাহারি দেশীয় পণ্য।
দুবাইয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রবাসী বাঙালিরা ছুটে আসেন প্রাণের মেলায়। আলতা সিঁদুর আর বৈশাখী শাড়ি আর গয়না চুড়িতে বাঙালিয়ানার সাজে সেজেছেন নারীরা। আর পুরুষদের

বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য
বর্ষবরণ উৎসবের একটি দৃশ্য

পরনে ছিল ফতুয়া-পাঞ্জাবি। মাথায় মুকুট, ফুলের মালা, লাল পেড়ে সাদা শাড়ি আর নূপুর পায়ে ছোট্টমণিদের মেলাময় ছুটোছুটি মেলায় প্রাণ আনে। পুরুষদের বস্তা দৌড়, নারীদের বালিশ খেলা ও বাচ্চাদের বুদ্ধির খেলা ছিল উপভোগ্য। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের গানে মুগ্ধ হন প্রবাসীরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান র‍্যাফেল ড্র, সেরা রাঁধুনি, সেরা সুবেশী দম্পতিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরবাসেও অনেকে মেলায় খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশ। প্রবাসীরা দেশকে যেন খুঁজে পেয়েছিলেন এই মেলায়।

মেলার একটি স্টলে পিঠা
মেলার একটি স্টলে পিঠা
দর্শক
দর্শক