ইসলামাবাদে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গতকাল (১৩ মে শনিবার) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবি প্রতিভা ও বাংলা সাহিত্যে তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান স্মরণ করে তাঁদের জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি এবং সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

প্রবাসী বাংলাদেশি, শিক্ষার্থী এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন। পাকিস্তানের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী তাহিরা আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

আলোচনা সভায় পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বে পরিচিতি লাভ ও বিশেষ মর্যাদার আসনে বসাতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুই কবিরই পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের জীবনাচারের সঙ্গে ছিল গভীর আত্মিক যোগাযোগ। বাংলাদেশের জনগণ ছিল তাঁদের সাহিত্যের প্রধান উপজীব্য। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দুই কবির গান-কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, শক্তি ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে ভারত থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আলোচনা শেষে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দূতাবাসের কর্মচারী ও বাংলাদেশি শিশুরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঋতু ও দেশাত্মবোধ প্রতিফলিত হয় দুই কবির রচিত এমন কয়েকটি মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করে। কাজী নজরুলের ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’ সমবেত সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ভাত-মাছ, মাংস, সবজি, মুড়িঘন্ট ও দই-মিষ্টিসহ হরেক পদের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি