নীলা বৃষ্টি

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

ক্ষণিকের তারকা নয়,

দূরের ওই চাঁদ-ও নয়,
মুছে দিয়ে যন্ত্রণা-পলেস্তারা; জলের ঝাপটায়,
আঁচরে ভেজা চুল, ভুরুর সরু,

টেনে এনে ক্লান্তি; দুচোখের পাতায়,
স্মৃতি মাখা নীলে; এঁকে নিয়ে নীলাঞ্জন,
মানুষের নিভৃত আলিঙ্গনের বিকৃত অভিপ্রায়—

সয়ে; আকাশ ধুয়ে, চুঁয়ে পড়েছে নীলা বৃষ্টি।
বাঁচতে শিখেছে!
দেখ আকাশ,

যদিওবা তোমার বুকে নেই সে আগের মতো আজ,
তুমিও নেই তার চোখের নীল কাজলে,

সে-ও নয় আর কোনো; আলো জাগানিয়া রাত।
কারও অভিসারে নয় সে গোপন অভিসারী,
তবুও দেখছ তার; সর্বাঙ্গে তারার ঝিলিমিলি!

বেশি দূর নয়, আবার খুউব কাছেও নয়!
অদেখার সীমা থেকে আরও কিছুটা নিকটে,
দেখার পরিসরের ভেতরেই সে আছে।

তুমি কি কোনো সাধক সজ্জন? আছে কি তোমার
সেই মৃত্তিকা-মন?

তবে এসো! ফরাশ পেতে বসি এখানে দুজন।
নিটোল আঙুলে বুনে যাই শীতল পাটি খাঁটি।
মানুষের ভেতর মানুষ থেকেই না হয় বাঁচি।

*নিবেদিতা পুণ্যি (সঞ্চারিণী): সৌদি আরবের দাম্মামপ্রবাসী।