বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে মুম্বাইয়ে সেমিনার

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান

ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেসকো স্বীকৃতি উপলক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) এই সেমিনার আয়োজন করে।

নীতা খান্ডপেকারকে ক্রেস্ট দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান
নীতা খান্ডপেকারকে ক্রেস্ট দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নীতা খান্ডপেকার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পুনের সিংহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আমন্ত্রিত অধ্যাপক ড. মান্দার ডি পাতিল ও রাজেন্দ্রন পানিককার। সেমিনারে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন কিকান প্রিয়েস রাঘবন।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বের গুণাবলি ও স্বদেশের জন্য তাঁর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন। একটি ঐতিহাসিক বক্তৃতা কীভাবে একটি গোটা জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল এবং সাধারণ জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানে অনুপ্রাণিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছিল, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করেন।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের ভূমিকা ও মানবিক গুণাবলির ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষত মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি সাব টাইটেলসহ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ‘Bangabandhu, forever in your hearts’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেমিনারে ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
সব শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি