রাসায়নিক সন্ত্রাস রুখতে বাংলাদেশের প্রস্তাবনা

রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) চতুর্থ রিভিউ কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তুতিমূলক সভায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য রাসায়নিক সন্ত্রাস মোকাবিলায় সদস্য দেশসমূহের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থায় বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশের পক্ষে এই প্রস্তাব রাখেন। রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার চতুর্থ রিভিউ কনফারেন্স চলতি বছরের ২১-৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ মুহম্মদ বেলাল গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় একজন উত্তর কোরীয় নাগরিকের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ যেন এ ধরনের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে তিনি এই প্রস্তাব করেন। সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ রাসায়নিক ব্যবহারে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্তির জন্যও বাংলাদেশ প্রস্তাবনা রাখে। ২৬ জানুয়ারি দ্য হেগে সংস্থার কার্যালয়ে ওই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবনাসমূহ ব্যাপক সমর্থন লাভ করে। প্রস্তাবনাসমূহ যথাযথভাবে তুলে ধরা ও বিবেচনার জন্য শেখ মুহম্মদ বেলাল পরে চতুর্থ রিভিউ কনফারেন্সের চেয়ারপারসনের সঙ্গেও একান্ত বৈঠক করেন। চতুর্থ রিভিউ কনফারেন্সের চেয়ারপারসন রাষ্ট্রদূত আই গাস্তি অগাং ওয়াসেকা পুজা (নেদারল্যান্ডসে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত) বাংলাদেশ গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রিভিউ কনফারেন্সের সাফল্যজনক সমাপ্তির লক্ষ্যে এ ধরনের আরও কার্যকরী সুপারিশ প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথোরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এর চেয়ারম্যান) ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কেমিক্যাল শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য রাসায়নিক দুর্ঘটনা নিবারণে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।