কলম্বোয় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু ‍দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে।

হাইকমিশন আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দিবসটি পালন উপলক্ষে মিশন প্রাঙ্গণে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কলম্বোয় বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকসহ মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সপরিবার অংশ নেন।
কলম্বোয় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে সকালে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর অনুষ্ঠানে সমবেত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন হাইকমিশনার। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বাণীগুলো পড়ে শোনান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।

কলম্বোয় বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু ‍দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
কলম্বোয় বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু ‍দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি গভীর মমতার বিষয়সহ তাঁর শৈশব, পারিবারিক জীবন এবং স্কুল জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও দিক তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা থেকে পাঠ করে চারজন শিশু-কিশোর। পরে, শিশুদের জন্য আয়োজিত বয়সভিত্তিক দুটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এবং ব্যক্তি-সমাজ ও জাতির সামষ্টিক উন্নয়নে শোষণ, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি সামাজিক কাঠামোর ওপর বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বর্তমানকালেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’–এর সফল বাস্তবায়নে আজকের শিশুদেরকেই ভবিষ্যতে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।

কলম্বোয় বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু ‍দিবস কেক কাটার দৃশ্য
কলম্বোয় বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু ‍দিবস কেক কাটার দৃশ্য

বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং সম্প্রতি নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের জন্য দোয়া পাঠ ও তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।