বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তার পূর্ববর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি একসূত্রে গ্রথিত হয়েছিল। এর ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতির নন-তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গত শনিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি ও স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ শিশুদের মাঝে উদ্দীপ্ত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বার্তা পৌঁছাতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তিনজন সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, আবদুর রহমান বদি ও শফিকুল ইসলাম শিমুল। সৈয়দ আবু হোসেন ও শফিকুল ইসলাম শিমুল বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁরা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের প্রতি আলোকপাত করেন।
এ দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্য এক বিশেষ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শিশুরা এতে অংশগ্রহণ করে। আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পরে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার সহকারে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি