ইসলামাবাদে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন: একটি জাতির অগ্রযাত্রা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আয়োজন করে পাকিস্তানের বাংলাদেশ হাইকমিশন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) একটি পাঁচতারা হোটেলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান আলোচ্য বিষয়ের ওপর পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। হাইকমিশনার তার উপস্থাপনায় গত এক দশকে বাংলাদেশে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বিশেষ করে বাংলাদেশকে ইউএনডিপির মানব উন্নয়নের মধ্যম ক্যাটাগরিতে উন্নীতকরণ, বিশ্বব্যাংকের নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের তালিকাভুক্তি ও জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রদানের কথা তুলে ধরেন। উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয়, নারীর ÿমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পয়োনিষ্কাশন, প্রাথমিক শিক্ষা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি, জ্বালানি, মোবাইল ফোন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আবস্থানে রয়েছে।

প্যানেল আলোচনা
প্যানেল আলোচনা

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও পাকিস্তানের বিকনহাউজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. তারিক রেহমান এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও লেখক তাহিরা আবদুল্লাহ প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।
তারিক রেহমান তার বক্তব্যে ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়ে বর্তমানে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে তার প্রশংসা করেন।
তাহিরা আবদুল্লাহ বহুবার বাংলাদেশ সফরকালে তার সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে লিপিবদ্ধ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক উন্নয়নের উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করেছে তা এক কথায় প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।

প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্নোত্তর পর্ব

দুই আলোচকই বাস্তুচ্যুত ও বিতাড়িত দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে নিজ ভূমিতে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে হাইকমিশনার ও আলোচকেরা প্রশ্নকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নগুলো প্রধানত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে করা হয়। এ ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্বিপক্ষীয় সাংস্কৃতিক উদ্যোগ বিষয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। প্রশ্নোত্তর শেষে হাইকমিশনার প্যানেল আলোচক দুজনকে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এরপর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, সাবেক কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। হোটেলের আয়োজনস্থলটি সুদৃশ্য ব্যানার ও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে তোলা বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো হয়। বিজ্ঞপ্তি

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ