ইসলামাবাদে বাংলা নববর্ষবরণ

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আনন্দ-উৎসব ও সমারোহে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ বরণ করা হয়েছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবন ও প্রাঙ্গণকে আলপনা এঁকে এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও ব্যানার দিয়ে মনোরম সাজে সাজানো হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি, শিক্ষার্থী, মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে তিনি বাংলা সনের উৎপত্তি ও নববর্ষ পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন বাঙালির সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিগত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি মুছে দিয়ে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি ও একতা প্রতিষ্ঠায় পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে হাইকমিশনার অভিমত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তারিক আহসান
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তারিক আহসান

‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ বৈশাখী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি তুলে ধরে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশি শিশুরা কয়েকটি নৃত্য ও সংগীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন করে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কয়েকটি ম্যাজিকও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা, জিলাপি, পেঁয়াজি ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা, জিলাপি, পেঁয়াজি ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা, জিলাপি, পেঁয়াজি ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ভাত-মাছ, মাংস, সবজিসহ হরেক পদের ভর্তা ও অন্যান্য দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি