সিডনিতে প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের ১৯ পুলিশ কর্মকর্তা
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা। বাংলাদেশে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আবার অনেক অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় থেকে যাচ্ছে বিচার ব্যবস্থার বাইরে। তাই অপরাধ ও অপরাধী দ্রুত শনাক্তে ১৪ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ‘অপরাধমূলক তদন্ত মনিটরিং ও তত্ত্বাবধান’ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে তা চলছে এখনো। আগামী ২২ এপ্রিল এই প্রশিক্ষণ শেষ হবে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান গভর্নেন্সের পরিচালক ড. দাউদ হাসান ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো ড. নাহিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। বাংলাদেশে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে এবং কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন পিবিআই কর্মকর্তারা বলে জানান তিনি। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সংক্ষেপে তিনি বলেন, এখানে অপরাধ ও অপরাধীর বৈশিষ্ট্য এবং তা যথাসময়ে শনাক্ত করার বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রে কীভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় তা নিয়েও প্রশিক্ষণ চলছে। আশা করছি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রশিক্ষণে শেখা কৌশলগুলো অপরাধীদের দ্রুত বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনতে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পিবিআই থেকে আরও ১৫০ জন প্রশিক্ষণ নেবেন। এ প্রশিক্ষণের পর শিগগির আবার ২০ জনের একটি দল প্রশিক্ষণ নিতে অস্ট্রেলিয়া আসবেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা হলেন; ডিআইজি এ কে এম শহিদুর রহমান ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মঈনুল হাসান, বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আহসান হাবীব পলাশ ও মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মো. সারোয়ার জাহান, মো. বেলাল হোসেন, চৌধুরী, মো. জাবের সিদ্দিক, মো. ফারুক হোসেন, শহিদুল্লাহ কাওসার, মিনা মাহমুদা, আকতার হোসেন, কাজী আকতার উল আলম, মো. মঈন উদ্দিন ও মো. শাহাদাত হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস। প্রশিক্ষণ শেষে ২৩ এপ্রিল তাঁদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। অসুস্থতার জন্য শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক এ প্রশিক্ষণ নিতে আসতে পারেননি।