গোলাপের রাজ্যে একদিন

দক্ষিণ কোরিয়ার চুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ গোলাপবাগান।
দক্ষিণ কোরিয়ার চুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ গোলাপবাগান।

চুসান বিশ্ববিদ্যালয়-দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। অনন্যসুন্দর স্থাপত্যশৈলী আর ছোট-বড় পাহাড়ে ঘেরা অনুপম একটি ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসটির প্রধানতম আকর্ষণ গোলাপবাগান।

৫ হাজার ২৯৯ বর্গমিটার জমির ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২২৭ প্রজাতির ১৮ হাজার গাছের সমন্বয়ে বাগানটিকে সাজানো হয়েছে।
৫ হাজার ২৯৯ বর্গমিটার জমির ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২২৭ প্রজাতির ১৮ হাজার গাছের সমন্বয়ে বাগানটিকে সাজানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রবিন্দুতে খেলার মাঠ ঘিরে বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে। ৫ হাজার ২৯৯ বর্গমিটার জমির ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২২৭ প্রজাতির ১৮ হাজার গাছের সমন্বয়ে বাগানটি সাজানো হয়েছে। ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাপ উৎসব করার প্রয়াসে বাগানটি সাজান বলে ধারণা করা হয়।

২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাপ উৎসব করার প্রয়াসে বাগানটি সাজানো হয়।
২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাপ উৎসব করার প্রয়াসে বাগানটি সাজানো হয়।

মে মাসের শুরু থেকেই গোলাপ ফুটতে শুরু করে। এ বছর মে মাসের ২২ থেকে ২৭ পর্যন্ত গোলাপ উৎসব পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অসাধারণ সব রং আর আকারের গোলাপ দেখতে পাওয়া যায় এখানে। খুব ছোট ঝুড়ি গোলাপ থেকে শুরু করে ডালিয়া ফুলের মতো বিশাল আকৃতির গোলাপ বাগানটিতে রয়েছে।

মে মাসের শুরু থেকেই ফুটতে শুরু করে গোলাপ।
মে মাসের শুরু থেকেই ফুটতে শুরু করে গোলাপ।

লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি কিংবা মিশ্র রঙের গোলাপের সমারোহ আর অপূর্ব সুন্দর সাজানো, বাগানটিকে করেছে আকর্ষণীয়। এখানে এত সুন্দর গোলাপ দেখলে ইচ্ছা করে প্রেয়সীর হাতে বিশাল আকৃতির একটি গোলাপ দিয়ে ভালোবাসার কথা বলতে। ইচ্ছে করে গোলাপের মধ্যে তাকে বসিয়ে গোলাপের রানি করে রাখতে। হয়তো এখানে রচিত হয়েছে এমন অনেক ভালোবাসার গল্প অথবা কবিতা। হয়তো কোনো এক বিকেলে সূর্য ডুবার মুহূর্তে কোনো এক বাংলাদেশি তাঁর ভালোবাসার হাত ধরে বলেছে ভালো লাগা কবিতা।

এ বছরের ২২ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত গোলাপ উৎসব পালন করছে চুসান বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বছরের ২২ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত গোলাপ উৎসব পালন করছে চুসান বিশ্ববিদ্যালয়।

বাগানটি কোরিয়ান সবার কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। গোলাপ উৎসবে তাই দেখা মেলে দেশে-বিদেশি অনেক মানুষের। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন সময়ে অনেক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেছেন এবং এখনো করছেন।

*নারায়ণ চন্দ্র পাল তিতাস, বায়ো এনার্জিক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট মুয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া