বাংলাদেশে সফরে এসেছেন থাই রাজকুমারী

মহা চক্রী সিরিধরন
মহা চক্রী সিরিধরন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন চার দিনের রাজকীয় সফরে গতকাল সোমবার (২৮ মে) ঢাকায় এসেছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই রাজকুমারীকে স্বাগত জানান। মহা চক্রী সিরিধরন থাইল্যান্ড সরকারের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাজকুমারীর প্রয়াত পিতা রাজা ভূমিবলের রয়্যাল চাই পাতানা ফাউন্ডেশনের মানবপ্রীতি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশে ২০১১ সালে এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সফরকালে রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি রয়্যাল চাই পাতানা ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রকল্পের পাশাপাশি স্কুলে শিশুদের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন প্রকল্প, বাংলাদেশে কৃষকদের জন্য টেকসই কৃষি প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সক্ষমতা অর্থনীতি শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সক্ষমতা অর্থনীতি শিক্ষাকেন্দ্র রাজা ভূমিবলের সক্ষমতা অর্থনীতি দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত।

রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন কাল বুধবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম শহরের টাইগার পাস এলাকায় বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি নতুন পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এর নাম বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ভেটিভার গ্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প। এই প্রকল্প চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সহায়ক হবে।
এ ছাড়া তিনি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শন এবং ঢাকা সেনানিবাসে প্রয়াস ইনস্টিটিউটে অটিস্টিক ও বিশেষ শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া তিনি আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরার মারিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে পরিদর্শন শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর আয়োজিত ভোজসভায় যোগদান করবেন।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম জানান, বিগত বছরের চাইতে এটি একটি উচ্চমাত্রিক সফর। রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন বিশ্বব্যাপী মানবপ্রেমী হিসেবে প্রশংসিত ও থাইল্যান্ডে ‘দেবদূত’ নামে পরিচিত। তাঁর এই সফর বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের বিশেষ সংযুক্তি ও নিয়ন্ত্রণের একটি দৃষ্টান্ত। এটি বঙ্গোপসাগরের দুই উপদ্বীপের দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকও।
সাইদা তাসনিম মুনা আরও বলেন, রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়েদের শিক্ষা, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মসূচির ব্যাপক প্রশংসা করেন। তা ছাড়া ইউএনএপি কর্তৃক সম্মাননা চ্যাম্পিয়নস অব আর্থ বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়ি জেলায় পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি