বিশ্বকাপে বেশি দেশকে সমর্থন দেওয়ার আনন্দ

লেখক
লেখক

জার্মানিতে এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। এ নিয়ে একটু অন্যরকম উত্তেজিত ছিলাম। কারণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেশে খেলা দেখব। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে অবশেষে বাজল বিশ্বকাপের বাঁশি।

বিশ্বকাপ খেলা দেখতে হলে তো কোনো দেশকে সমর্থন দেওয়া দরকার। তা না হলে যে একঘেয়েমি লাগে। যেহেতু আমার নিজ দেশ বিশ্বকাপে খেলছে না। সেহেতু অন্য কোনো দেশকে সমর্থন দিয়ে যদি মনের একটু খোরাক মেলে মন্দ কী তাতে?
বারবার একই দেশকে সমর্থন দেওয়াটাও আমার কাছে একঘেয়েমি লাগে। বিশ্বকাপে কোন দেশকে সমর্থন দেওয়া যায় এ নিয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলাম। কেউ বললেন, এই দেশকে করো। কেউ বললেন, ওই দেশকে করো। মানে তিনি যে দেশকে সমর্থন করেন সেই দেশের গানই গাইলেন।
কিন্তু আমার মন চায় পরিবর্তন। চায় কিছু অন্যরকম। মনের মধ্যে একটা দারুণ বুদ্ধি এল। ঠিক করলাম, এবার বিশ্বকাপে একের বেশি দেশকে সমর্থন দেব। বেছে নিলাম পছন্দের চারটা দেশকে। জার্মানি, মেক্সিকো, জাপান ও মিসরকে। সিদ্ধান্ত নিলাম এই চার দেশকে সমর্থন দেব।
এই চার দেশকে সমর্থন দেওয়ার পেছনে আছে ছোট ছোট কিছু কারণ। যেহেতু জার্মানি থাকি এবং জার্মানরা খেলেও ভালো আর জার্মান বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্যই মূলত জার্মানিকে সমর্থন দেওয়া।
মেক্সিকোকে সমর্থন দেওয়ার কারণ মেক্সিকান খাবার আমার খুব পছন্দ। আর এ থেকেই দেশকে ভালো লাগা ও তাদের সাপোর্ট দেওয়া। মেক্সিকান বাজনাও দারুণ!
জাপানকে সাপোর্ট দেওয়ার কারণ মূলত কয়েকজন জাপানি বন্ধু। সেদিন তো একজন জিজ্ঞেস করেই ফেলেছিলেন, আমি কোন দেশকে সমর্থন করি? বললাম, জাপান। জাপানি খাবার সুশি আমার আমার খুব পছন্দ। এর চাইতেও বেশি পছন্দ আমার সুশির সঙ্গের মরিচ। এই মরিচ যিনি একবার খেয়েছেন তাকে জাপানকে সমর্থন দিতে হবে।
মিসরকে সমর্থন দেওয়ার কারণ মূলত সালাহর খেলা ভালো লাগা থেকেই। দুবাই থাকাকালে আমার অনেক সহকর্মী ও বসেরা ছিলেন মিসরীয়। এরা লুক হিসেবে অনেক ভালো। এ ছাড়া তাদের ভাষাও আমি বুঝি।
খেলাধুলা মানে বিনোদন। নিজের সময় নষ্ট করে দেখবই যখন বিনোদনের আশায় দেখব। একসঙ্গে চার দেশকে সমর্থন দিয়ে ভালোই লাগছে। মনের মাঝে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে।
রোববার দিন হবে আমার সমর্থন দেওয়া দুই দেশের প্রতিযোগিতা। জার্মানি বনাম মেক্সিকো। জার্মানি বা মেক্সিকো একদল জিতলেই আমি খুশি। দুঃখ করার দরকার কী?

নাঈম হাবিব: জার্মানি। ইমেইল <[email protected]>