ইসলামাবাদে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তারিক আহসান
রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তারিক আহসান

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুন) জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন করা হয়। ইসলামাবাদপ্রবাসী বাংলাদেশি এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান। স্বাগত বক্তৃতায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূলনীতিসমূহ যেমন-স্বাধীনতা, মানবতা, উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের অহংবোধ প্রতিষ্ঠালগ্নে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তারিক আহসান বলেন, দুই কবিই তাঁদের জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন তৎকালীন পূর্ব বাংলায় তথা বর্তমান বাংলাদেশে। পূর্ব বাংলার লোক সংস্কৃতি ও মানুষের সংগ্রামী জীবন তাঁদের সাহিত্যর প্রধান উপজীব্য।

রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

তারিক আহসান আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথের বাংলা বন্দনা ও নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা বাঙালিদের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অসুস্থ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন।
আলোচনা শেষে, সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলের কবিতা আবৃতি ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি