কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় জাপানের পদ্ধতি অনুসরণীয়

সামাজিক কাজ ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার জন্য জাপান হতে পারে উদাহরণ। বাংলাদেশ জাপানের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। জাপানের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তি ও শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করা সম্ভব।

জাপানে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পর এ কথা বলেন দলের নেতা বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা সফরে প্রতিনিধিদল বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছে। স্ট্রেন্দেনিং হেলথ সিস্টেম থ্রো অর্গানাইজিং কমিউনিটিজ প্রকল্পের আওতায় নন-কমিউনিক্যাল ডিজিজ কন্ট্রোল নামক এই এক্সপোজার সফর গতকাল শুক্রবার (২৭ জুলাই) শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে জাপানের সহায়তায় প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।

সফরকালে জাহিদ মালেক জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট তাকাও তোদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুনঃস্থাপন করার কাজে জাইকার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের কাছে বিশেষজ্ঞ ড. তোবে জাপানে স্বাস্থ্যসেবা, জাতীয় বিমা পদ্ধতি ও নার্সিং কেয়ার সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
পরে জাহিদ মালেক জাইকা সেন্টারে বাংলাদেশে মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী জাপানি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। তিনি জাপানি ব্যবসায়ীদের যন্ত্রপাতি সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আলোচনায় অংশ নেন এবং তিনি জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

প্রতিনিধিদল ২৪ জুলাই জাপানের সাকু শহরের হাসপাতাল, নার্সিং কেয়ার সেন্টার ও স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি এবং কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া ২৫ জুলাই দলটি ওবু শহরের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। জাপানের ষষ্ঠ স্বাস্থ্যকর শহর ওবুর মেয়র হিদেতো ওকামুরার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি