সাস্কাতুনে চড়ুইভাতি

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

‘আজকে আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা...।’ গানের সেই কলিকে বাস্তবে রূপ দিতে কানাডার সাস্কাচেওয়ান প্রদেশের সাস্কাতুনের সর্বজনীন পূজা পরিষদের (এসএসপিপি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে চড়ুইভাতি। গত শনিবার (২৮ জুলাই) সাস্কাতুন শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ম্যানিটো বিচে এ চড়ুইভাতি আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে ম্যানিটো বিচ প্রবাসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। বেলা ১২টা থেকেই একে একে আসতে শুরু করেন বন্ধুরা। অল্প কিছুক্ষণের ভেতর এলাকাটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশে পরিণত হয়।

বিস্কুট দৌড়
বিস্কুট দৌড়

১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব ফ্রান্সের চড়ুইভাতি বা পিকনিকের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যুক্ত করে। বিপ্লবের পর ওখানকার পার্কগুলো সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে খোলা বাতাসে মানুষ পার্কে সমবেত হয়ে চড়ুইভাতি বা পিকনিক করতেন। আর কানাডার পার্কগুলোও সামারে মুখরিত হয়ে ওঠে চড়ুইভাতিতে। সকলেই ফিরে যেতে চান তাদের শৈশব আর কৈশোরে। আবার মাংস পুড়িয়ে (বারবিকিউ) আদিম যুগেও ফিরে যেতে চান।

চঞ্চল রায় একজন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন
চঞ্চল রায় একজন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন

দুপুরের খাবারের পরই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ছোট-বড় যে যার মতো আড্ডা আর খেলাধুলায় মেতে ওঠে। ফুটবল খেলার পাশাপাশি ছোটদের বিস্কুট দৌড় যেমন মায়েদের টেনশন কিছুক্ষণের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে স্ত্রীদের চামচে ন্যাপথলিন বল নিয়ে দৌড় স্বামীদের টেনশনও বাড়িয়ে দিয়েছিল। দৌড়ঝাঁপ, সাঁতার আর নৌকাবাইচ করতে করতে কখন যে সময় গড়িয়ে গেল টেরই পাওয়া গেল না। শেষ পর্বে মেয়েদের বালিশ খেলা আর বারবিকিউ বেশ জমে ওঠে।

বালিশ খেলা
বালিশ খেলা

অল্প সময়ের খেলা চড়ুইভাতি হলেও এই খেলার মধ্যে যে আনন্দ-বেদনা ও উচ্ছ্বাস তা আমাদের জীবনকে নিযে যায় অনন্য মহিমায়। আর তাই চড়ুইভাতি খেলায় যে আনন্দ পাওয়া যেত ঠিক তেমনই এই আয়োজন সকলকে বেশ আনন্দ দিয়েছে। উপস্থিত সবাই এ রকম একটা সুন্দর ও উপভোগ্য চড়ুইভাতি উপহার দেওয়ার জন্য এসএসপিপির সভাপতি চঞ্চল রায় ও সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন করকে ধন্যবাদ জানিয়ে চড়ুইভাতির সমাপ্তি টানেন।

অমিত উকিল: সাস্কাতুন, কানাডা।