প্রিয় তুমি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

প্রখর রুদ্র তাপে পুড়ছি

তোমারই অপেক্ষা করছি,
বৃষ্টি তোমার জন্য মন
বড় বেশি ব্যাকুল অস্থির,
তোমার জন্য রইল নিমন্ত্রণ।

প্রিয় তুমি,
শুধুই কী আকাশ, শুধুই কম বাতাস,
আমিও চাই শীতল আবাস,
প্রিয়তম, তোমারই প্রতীক্ষায়
বেলা আমার বয়ে যায় অবহেলায়,
প্রকৃতির মতো শুষ্ক আমারও হৃদয়
ধুলো আর বিষণ্নতার এক অস্থির সময়।
প্রিয় মন, তোমাকে আমার আকুল আহ্বান,
বৃষ্টি, তোমারও জন্য রইল নিমন্ত্রণ।

প্রিয় বৃষ্টি
শুধুই কী নদী, শুধুই কী বন,
আমার অনুভূতি আর আশার জাগরণ,
প্রিয়তম তোমার ভালোবাসার বৃষ্টিধারা
মিটিয়ে সকল অভিযোগ, পালিয়ে যাক অভিমানেরা।
বৃষ্টি-স্নাত অবগাহনেই যেন শেষ হবে প্রকৃতি আর আমার এই দহন
তোমার আগমন, তাই আজ বড় বেশি প্রয়োজন।
তারই সাথে প্রতীক্ষা তোমার জন্য প্রিয় মন,
বৃষ্টি তোমার জন্য রইল আমার নিমন্ত্রণ।

দুই.

আলোময় দিনের শেষে আকাশের শেষ সীমানায়
যখন একটু একটু করে সূর্য যায় ডুবে,
তখন সেই রক্তিম-রাঙা গোধূলিবেলায়,
তোমারই স্মৃতিগুলো যেন ফিরে আসে আমার অনুভবে।

অমাবস্যা রাতে তীব্র অন্ধকার-ছায়ায়
যখন শুধু জোনাক জ্বলে নদীর ধারে,
তখন সেই ঘুমহীন নিশ্চুপ নির্জনতায়
আমি তোমাকেই পাই আমার দুঃস্বপ্ন জুড়ে।

ঝড়-বৃষ্টির শেষে রংধনু ভাসে
যখন আকাশ হাসে নতুন সাজে,
তখন কষ্ট-বেদনার কান্না শেষে,
কেন তোমাকেই পাই আমার হৃদয় মাঝে।

তিন.

মনটা আজ আমার উড়ু উড়ু,
ময়ূরের মতো ইচ্ছেগুলো মেলছে রঙিন পাখা।
বুকটা আজ কাঁপছে দুরুদুরু,
উত্তেজনায় ভাবছি, কখন পাব তোমার দেখা।

প্রখর-রোদও লাগছে ভালো,
পুড়ছি না আর কোনো কিছুতে।
জ্বলছে অজানা অনুভূতিগুলো,
তোমায় কাছে পাওয়ার আশাতে।

ঘূর্ণি-বাতাসে উড়ছে ধূলিকণা,
লাগছে না যেন কিছুই চোখ-মুখ-গায়ে।
ভাসছি আমি সুখে অজানা,
স্বপ্ন সাজাই তোমার কল্পনা-অনুভব নিয়ে।
...

নিপা দেবনাথ: শিজুওকা, জাপান।