১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা।
পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে। দিনটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিশেষ মোনাজাত, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বর্ণাঢ্য কর্মবিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির শ্রম, শিল্প সম্পর্কীয়, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সুদেশ সাদকাম কালীচরণ।
প্রধান অতিথি সুদেশ সাদকাম কালীচরণ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কেননা তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যায়নি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি করে যাচ্ছেন। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশের সমসাময়িক উন্নয়নের বিভিন্ন নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি মরিশাস সরকার, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সদস্য, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশের উন্নয়নের এই যাত্রায় সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দেশ পরিচালনায় তাঁর নেতৃত্বের সাফল্য ও বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতি ও জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। মন্ত্রী সুদেশ সাদকাম কালীচরণ ও হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। হাইকমিশনের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. অহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল রউফ বন্ধন, সাংসদ বশির জাহাঙ্গীর, পোর্ট লুইসের ডেপুটি মেয়র এহসান ইসমাই মামুদি, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওশিহারো কাতো, রুশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি