বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল চেতনা ধ্বংসের অপচেষ্টা

সভায় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়
সভায় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল চেতনাকে ধ্বংস করা এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা। কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর অসামান্য অবদান ও বর্ণাঢ্য কর্মকাণ্ড এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক ও এর পেছনে তৎপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের প্রতি আলোকপাত করেন। জাতির পিতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যে কজন বর্তমানে প্রবাসে লুকিয়ে রয়েছেন, তাদের শাস্তি কার্যকর করার আহ্বান জানান এবং এ বিষয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

শোক দিবসের সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান
শোক দিবসের সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান

অটোয়ায় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন ১৫ আগস্ট বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে। সকাল বাংলাদেশ হাউসে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সন্ধ্যায় হাইকমিশনের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব অপর্ণা রানী পাল। হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও টরন্টোয় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নাঈম উদ্দিন আহমেদ ও অন্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় নাঈম উদ্দিন আহমেদ ও হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মিয়া মো. মাইনুল কবির, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. সাখাওয়াত হোসেন, আওয়ামী লীগের কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শিকদার মতিউর রহমান, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, মুনশি বশির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রোধ করার যে অপচেষ্টা করা হয়েছিল তা তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সফলতার বর্ণনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দণ্ডিত ও কানাডায় অবস্থানকারী নুর চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও হাইকমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং কানাডাপ্রবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ নির্মাণে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি