সিউলে জাতীয় শোক দিবস পালন

আলোচনা অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম
আলোচনা অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

১৫ আগস্ট বুধবার সকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বয়সের বাংলাদেশের শিশুকিশোররা অংশগ্রহণ করে। পরে রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। শোক দিবস উপলক্ষে কোরীয় সেকেন্ডারি স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কোসেটা) সহযোগিতায় আগামী সেপ্টেম্বরে কোরীয় শিশুদের জন্য এ ধরনের আরেকটি চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন একজন শুভেচ্ছা দূত
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন একজন শুভেচ্ছা দূত

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মূল পর্বের অনুষ্ঠান। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক নিযুক্ত চারজন শুভেচ্ছাদূত এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও অবদানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নেন। শুভেচ্ছাদূতের মধ্যে থেকেও দুজন বক্তব্য দেন। তারা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সেই ভয়াল রাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়

আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা পাঠ করা হয়। দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও কমিউনিটির সদস্যরা কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন।

ফারুক হিমেল: সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া।