কমিউনিটির উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়

বায়েসের পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তারা
বায়েসের পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তারা

কানাডার টরন্টোয় বাঙালি কমিউনিটির উন্নয়নে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস)। গত শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

বায়েসের চেয়ারপারসন গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন, আজীবন সদস্য ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, রিকানেক্ট কমিউনিটি সার্ভিসেসের ম্যানেজার ও বায়েসের সদস্য মোস্তফা কামাল, ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি স্টুডেন্ট ও বায়েসের সদস্য কেবিন বৈরাগী, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক ও বিচেস-ইস্ট ইয়র্কের স্কুল বোর্ড ট্রাস্টি পদপ্রার্থী মিশেল আর্টস, বায়েসের বোর্ডে নবনির্বাচিত পরিচালক নওশিন খান ও মাইশা আলমসহ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ইমাম উদ্দিন বায়েসের বিগত বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন। আর্থিক প্রতিবেদন ও আগামী বছরের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান গোলাম মোস্তফা। এর ওপর অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন চয়নিকা দত্ত, মোস্তফা কামাল, কেভিন বৈরাগী, মিশেল আর্টস, মাইশা আলম ও নওশিন খান প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বায়েসের পরিচালনা পর্ষদে নতুন তিন পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন মাইশা আলম, নওশীন খান ও রাবেয়া রহমান।

সাধারণ সভায় উপস্থিতির একাংশ
সাধারণ সভায় উপস্থিতির একাংশ

বক্তারা বায়েসের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, কানাডায় নবাগতদের অনেকেই জানেন না, কোথায় যেতে হবে, কীভাবে নিজের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সম্মানজনক পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এসব সমস্যা এককভাবে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য কমিউনিটির সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তথ্য, উপাত্ত দিয়ে দলমত-নির্বিশেষে ছোট, বড় সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করলে অচিরেই কানাডায় বাঙালিরা একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছতে পারবে। বায়েস ভবিষ্যতেও তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সভায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত বায়েসের ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম (আয়োশি মমিতা), দ্বিতীয় (উমাইমা মেহবুবা) ও তৃতীয় স্থান (হাসিব হোসেন) অধিকারীদের যথাক্রমে এক শ, পঁচাত্তর ও পঞ্চাশ ডলারের চেকসহ সনদ প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন চয়নিকা দত্ত। প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন সিবিএন টোয়েন্টি ফোরের সম্পাদক মাহবুবুল হক ওসমানী ও নন্দন টেলিভিশনের পরিচালক মাইনুর আরজু। প্রতিযোগিতাটি স্পনসর করেন রিয়েলটর দেওয়ান আহমেদ।

উল্লেখ্য, ‘তথ্য বিনিময় উন্নত জীবন’—এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ২০১২ সালে টরন্টোতে কার্যক্রম শুরু করে বায়েস। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে বায়েস ১ হাজার ৩৫ জনকে সরাসরি তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছে। বিজ্ঞপ্তি