রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদিন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অফিস কক্ষে সপরিবারে লেখিকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অফিস কক্ষে সপরিবারে লেখিকা

গত বছর ডিসেম্বর মাসে আমাদের বুয়েটের একটা পুনর্মিলনী (রিইউনিয়ন) ছিল। আমাদের ব্যাচের সব বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারের এক অতি আধুনিক রিসোর্টে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। আমার বরও আমার একই ব্যাচের। বাচ্চারা যেতে চাচ্ছিল না। মাত্র দেশে এসেছে ওরা, নানা-নানি, দাদা-দাদি, চাচা-মামা, কাজিন সবার সঙ্গে মন ভরে সময় কাটানো হয়নি। তা ছাড়া ওদের কথা হচ্ছে ‘বিচ তো আমরা সব সময় দেখি। এটা নতুন করে দেখার কী আছে?’

আমি আবার কোথাও গেলে এদের সবাইকে পোঁটলা বেঁধে নিয়ে না গেলে শান্তি পাই না, আনন্দ পরিপূর্ণ হয় না। একটা ভালো কিছু দেখলে, ভালো কিছু খেলেই ওদের জন্য খারাপ লাগে। অনেকটা জোর জবরদস্তি করে ওদের রাজি করানো হলো এই শর্তে যে, কক্সবাজার থেকে এসেই তাদের নানা-নানি ও দাদা-দাদিসহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।

চট্টগ্রামে আমার একটা কাজ থাকায় আমি আগেই একা রওনা দিয়েছিলাম। তাই কক্সবাজার পৌঁছে গেছি ওদের আগেই। এখানে একটা কথা না বললেই নয়, বহু বছর পর আমি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথের সৌন্দর্য আবার প্রাণ ভরে উপভোগ করেছি। শুধু একটা কারণে, দিনটা ছিল শুক্রবার। আর আমি রওনা দিয়েছিলাম সাত সকালে। রাস্তায় জ্যাম ছিল না বললেই চলে।

এই ভ্রমণ অনেক দিন পর ছোটবেলায় নানু বাড়ি যাওয়ার মতো লাগল। কক্সবাজার পৌঁছে বন্ধুবান্ধব পেয়ে আমি দিশেহারা। অনেকের সঙ্গে অনেক দিন পরে দেখা হলো। তবে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমার হোটেলে, বিশেষ করে রুমে পৌঁছে। লোক বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং আমি দেরি করে রেজিস্ট্রেশন করায় আমাদের একটা সদ্য নতুন রিসোর্টে রুম দেওয়া হয়েছে। যেখানে তখনো কোনো অতিথি থাকা শুরু করেনি। আমি একটুও অতিরঞ্জিত করছি না। বিদেশে অনেক ভালো ভালো রিসোর্টে থাকার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। কিন্তু ওই রুমে ঢুকে আমার চোখ পুরা কপালে উঠে গেছে। রুমের বারান্দা থেকে সমুদ্র দেখা যায়। বিচের ওপরেই রিসোর্ট। গর্বে বুকটা ভরে গেল, আমার দেশের পর্যটন নিয়ে এখন গর্ব করা যায়।

ভাবছি, এত সুন্দর রুমে কিছু না করেই, শুয়ে-বসে, টিভি দেখে, গান শুনে, সূর্যাস্ত দেখে, সমুদ্র দেখে, সমুদ্রের গর্জন শুনে সময় কাটানো যায়। ছেলে-মেয়ের তাক লেগে যাবে। না জানি, কত খুশি হবে ওরা।

একটু পরেই বাবার সঙ্গে ছেলে আর মেয়ে এসে হাজির। আমার ছেলের বয়স এখন বিশ আর মেয়ে চৌদ্দ। আমি আগ্রহ ভরে ওদেরকে সব দেখালাম। তাক লাগল ওদের বাবারও। কিন্তু ওদেরকে দেখে মনে হলো, আমি কোনো খাঁচায় এনে ওদেরকে ভরে দিয়েছি। আমি আর আমার বর আছি অন্য মুডে। কোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে কত বছর পর দেখা। শুঁটকি মাছের ভর্তা, রুপচাঁদা মাছ খেয়ে মহা খুশি। সেটা খেয়েও তাদের মন উঠছে না। নানুর হাতের রান্না ফেলে এসব কী খাওয়াচ্ছি? নানু কত ভালো রান্না করে।

রিসোর্টের ওপরে সুইমিং পুল। এমনিতে ওরা সাঁতার কাটতে পছন্দ করে। কিন্তু এবার ওদেরকে টেনেও রুম থেকে বের করা যাচ্ছে না। এই রকম বিচ ওরা অনেক দেখেছে। এই রিসোর্ট, এই কনসার্ট, অঢেল মজাদার খাবার, বাবা-মায়ের এই সব নামীদামি বন্ধু, এটা নাকি রিয়েল বাংলাদেশ নয়। এই মেকি বাংলাদেশ দেখে তারা কেন তাদের ছুটি নষ্ট করছে? নানা-নানি, দাদা-দাদির কাছে থাকলে অন্তত প্রাণের মানুষদের কাছে থাকা হতো। আর না হলে তাদের রিয়েল বাংলাদেশ দেখাও। কাছেই তো রোহিঙ্গা ক্যাম্প। পৃথিবী জুড়ে সেটা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সেই বিরাট সমস্যা নিয়ে, মানুষের এত কষ্ট নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে তার পাশেই আমরা এত নকল আনন্দে মেতেছি, এটা কেমন কথা?

সত্যি কথা বলতে কী ওদের এই কাণ্ড কারখানায় আমি বেশ বিরক্ত হয়েছি। মেয়েকে তবু খাওয়ার সময় রুম থেকে বের করা গেছে। কিন্তু ছেলেকে না। খাওয়া নিয়ে আমাকে ওর রুমে যেতে হয়েছে। পরে ভেবে দেখলাম, ওদেরকে এভাবে মন মরা রেখে আমাদের আনন্দ পরিপূর্ণ হচ্ছে না। তা ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার আগ্রহ আমাদেরও আছে। হাতে সময় খুব কম। বন্ধুদের সঙ্গে কিছু আনন্দ স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প
একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরে সমস্যা দেখা গেল ক্যাম্পে যাব কীভাবে? ইচ্ছে হলেই তো ঢোকা যাবে না। মনে পড়ল বুয়েটের এক জুনিয়র আছে কুতুপালং ক্যাম্পের দায়িত্বে। ওর সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় নেই। তবে লেখালেখির মাধ্যমে কিছুটা পরিচয় আছে। একটু সংকোচ হচ্ছিল। কিন্তু মা হলে অনেক কিছুই করতে হয়। লজ্জা সংকোচ ঝেড়ে ফেলে তাকে ফোন দিলাম সন্ধ্যার পরে। অত্যন্ত ভদ্র ছেলে। সে জানাল পরের দিন সকালে কিছুটা সময় দিতে পারবে। দুপুর থেকে সে ব্যস্ত হয়ে যাবে। আমি আমাদের ঠিকানা দিলাম। এতক্ষণে আমার ছেলেমেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। পরের দিন ভোরে আমাদের সঙ্গে বিচে হাঁটতেও গেল। দুই ভাইবোন গুটুর গুটুর করে গল্পও করল।

সকাল নয়টার দিকে সেই জুনিয়র এসে হাজির। ওর নাম মুহাম্মাদ তালুত। ওর লেখা থেকেই জানি ভীষণ উদ্যোগী ছেলে। দেশের জন্য খুব ভাবে, অনেক কার্যকর বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার ছেলেমেয়ে ভীষণ উত্তেজিত। যেতে যেতে তালুতের কাছ থেকেও রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে অনেক কিছু শুনলাম। ওরা নাকি কয়েক প্রজন্ম ধরে অনেক আগে থেকেই চট্টগ্রামে আসত। অনেকের বাংলাদেশে একটা বউ বা পরিবারও আছে। ভাষা চট্টগ্রামের ভাষার সঙ্গে কিছুটা মিল আছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পর প্রচুর বিদেশি সাহায্য আসছিল। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের কিছু সমস্যার কথাও শুনলাম। তাদের নিজেদের মধ্যে মিল খুব কম। নেতৃত্বের অভাব। প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা এড়াতে দল ভাগ করে যদি কাউকে নেতা ঠিক করে দেওয়া হয়, সেই নেতা সবার সমস্যা, দাবি-দাওয়া নিয়ে আসবে সরকারি অফিসে। অর্থাৎ সে হবে সেই দলের মুখপাত্র। কিন্তু কেউ সেই নেতাকে মেনে নেয় না। এই নিয়ে শুরু করে মারামারি। এ কারণে এদের কোনো সমস্যার সমাধান খুব কঠিন। যে জাতির নিজেরই মিল নাই, সে জাতির উন্নতি তো আর কেউ করে দেবে না।

রোহিঙ্গারা যখন প্রথম আসা শুরু করল, অবস্থা দাঁড়িয়েছিল ভয়ংকর। বিশেষ করে পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা দাঁড়িয়েছিল ভয়াবহ। যারাই গেছে সাহায্য করতে সেই ভয়ংকর দুর্গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেনি। তৎক্ষণাৎ বমি করে অসুস্থ হয়ে ফিরেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আমরা যাচ্ছি বিচের পাশ দিয়ে। গাড়ি চলছে অপরূপ মেরিন ড্রাইভে। দুই পাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই এত কাছেই সেই ক্যাম্প। আশ্চর্য, অন্য সময় হলে মন পড়ে থাকত সমুদ্রে। কিন্তু তখন কেন যেন সেই ইচ্ছেটা উধাও হয়ে গিয়েছিল। মেরিন ড্রাইভ শেষ হওয়ার পর খানিকটা গ্রাম, খানিকটা উপজেলা শহরের মধ্যে দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল।

তালুত আমাদের কিছু কিছু ক্যাম্পের রাস্তা দেখাল। বাইরে থেকে খুব একটা কিছু বোঝা যাচ্ছে না। শান্ত গ্রাম মনে হচ্ছে। জনবসতিও হালকাই।

একসময়ে গাড়ি এসে থামল কুতুপালং ক্যাম্পে। পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা ধরে তালুত আর তার সহকারী ছেলেটা আমাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেল। এই ছেলে দোভাষীর কাজ করবে। আমি মনে মনে ভাবছি, নানার বাড়ি চট্টগ্রাম, আমার আবার দোভাষী লাগবে নাকি? ক্যাম্পে ঢুকেই পুরা হকচকিয়ে গেলাম। আমার সারা জীবনে এমন অভাবনীয় দৃশ্য আমি দেখিনি। পাহাড়ের ঢালে গায়ে গা লেগে সারি সারি ঘর। বাঁশের বেড়া, ওপরে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। এত অল্প জায়গায় এত মানুষের থাকার বাসা। দেখে মৌচাকের মতো লাগছিল। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।

ঢাকায় ছোটবেলায় বস্তি এলাকায় গিয়েছি, তার সঙ্গে কিছুটা মিল আছে। কিন্তু ভীষণ সুন্দর প্ল্যান করা। হাঁটার রাস্তা আছে। প্রতি বিশজন মানুষের জন্য বাথরুম আছে। সরকারি অফিস আছে। চিকিৎসা করার ব্যবস্থা আছে। বাচ্চাদের জন্য স্কুল আছে। মসজিদ আছে। এই প্রথম আমি বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকার কী অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছে। এই বিপুল পরিমাণ জনগণকে একটি দরিদ্র দেশ শুধু ঠাঁই দেয়নি, তাদের বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসা শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এটা কোনো সহজ কাজ নয়। এবার আবারও আমার গর্বে বুক ফুলে উঠল।

রাস্তায় কিছু লোক এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটাই মনে হলো সবচেয়ে বড় সমস্যা—কর্মসংস্থান। আমরা তাদের বাড়িতে ঢুকে অবস্থা দেখতে চাইলাম, কথা বলতে চাইলাম। তালুত বলল, আমি আর আমার মেয়ে যেতে পারব শুধু। রোহিঙ্গাদের মেয়েরা খুব বেশি পর্দানশিন। এরা এমনকি অসুখ হলে নিজে ডাক্তারের কাছে আসে না। স্বামী-বাবা এদের মাধ্যমে ওষুধ নেয় এই যুগে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কুল
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কুল

সঙ্গের দোভাষী এক বাড়িতে গিয়ে আমাদের ইচ্ছার কথা বলল সেই বাড়ির পুরুষকে। পুরুষের কিন্তু আমার বা আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো পর্দা নেই। আর সেই দোভাষীকেও তারা এখন চেনে বলে ঢুকতে দেয়। যে বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে এক পরিবার। তার বেশ বড় মেয়ে, তার ছেলে আর ছেলের পরিবার সবাই থাকে একটা মাত্র ঘরে, মাঝখানে একটা পর্দা জাতিও কিছু দিয়ে। এত অল্প জিনিসে কীভাবে মানুষের চলে কে জানে। শুনলাম তাদের দেশ থেকে পালানোর গল্প। ভীষণ করুণ। দেশে সব ফেলেই আসতে হয়েছে।

আমরা যাওয়ার আগের দিন একটা মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। কে করেছে সেটার খোঁজ খবর চলছে। ক্যাম্পে নাকি এ ধরনের ঘটনা, মারামারি এগুলো হয় মাঝে মাঝে। মারা গেছে ছোট শিশুও, তবে পথিমধ্যে। ক্যাম্পে ওরা প্রতিদিনের খাদ্য সামগ্রী পায়। তারপর নিজেরা রেঁধে খায়। আমার দেখে মনে হয়নি কেউ অনাহারে আছে বা খিদে তৃষ্ণায় ধুঁকছে।

সেখান থেকে গেলাম ওদের স্কুলে। প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের সামনে সুন্দর চাপকল। আমার বাচ্চারা স্কুলের শিশুদের দেখতে আগ্রহী। রোহিঙ্গা শিশুরা দুলে দুলে ওদের ভাষায় নামতা পড়ছে। ভালো লাগল শিশুগুলোকে দেখে। দেশ হারানোর ভয়াবহ স্মৃতি ওরা হয়তো এত দিনে কাটিয়ে উঠেছে।

স্কুল থেকে বের হয়ে হাঁটছিলাম। রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা মুদি দোকান। তার সামনের বেঞ্চে বসে একটু বিশ্রাম নিলাম আমরা। এত মানুষ থাকে, কিন্তু রাস্তাঘাট নোংরা না। সবশেষে গেলাম তালুতের অফিসে। অস্থায়ী অফিস। এটাও বেড়ার ঘর। ঘরের আকার বেশ বড়। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ জমে গেছে। একেকজন এসেছেন একেক সমস্যা নিয়ে। কেউ বিচার নিয়ে, কেউ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, কেউ বা এসেছেন ক্যাম্পের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নিতে।

খুব অবাক লেগেছে যে, সরকার এতগুলো মানুষের ডেটাবেইস তৈরি করেছে, যেখানে প্রতিটা মানুষের তথ্য আছে। তবে কিছু মানুষ যে এই সুযোগেও অসাধু কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে না, তা হলফ করে বলা যায় না। ভাষাগত কারণে এবং অশিক্ষা ও গোঁড়ামির কারণে অনেক উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়।

আমাদের ঘরগুলো দেখানোর সময় তালুতকে খুব চিন্তিত দেখলাম। জানতে পারলাম, যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়ি ধসে এসব বাড়িঘর ভেঙে পড়তে পারে। গাছ কেটে ফেলা হয়েছে সব, তাই এই মাটিকে আটকে রাখার কিছু নেই। এই মানুষগুলোর জীবন বিপন্ন। তালুত নানাভাবে চেষ্টা করছে এটার একটা প্রতিকার করতে। একরকম ঘাসের সন্ধান পেয়েছে যে ঘাসের বংশ বৃদ্ধি হয় খুব দ্রুত। শেকড় চলে যায় অনেক গভীরে। সেই ঘাস হয়তো ঠেকাতে পারে এই ভূমিধস। এখন চেষ্টা করছে সেই ঘাসের বীজ জোগাড় করতে।

তালুতকে এক ঘর ভর্তি লোকের সঙ্গে কাজের মাঝে রেখে ফিরে এলাম আমরা। দেখে এলাম এক অন্যরকম জীবন। যে জীবনের সঙ্গে কোনো পরিচয়ই ছিল না। মানুষের প্রতি মানুষের এই অন্যায় দেখে যেমন মনের ভেতরে ক্ষোভ ফেটে পড়ে, আবার বাংলাদেশ এই অসহায় মানুষদের প্রতি যে সৌহার্দ্য দেখিয়েছে, সেই উদাহরণও বিরল। আসার সময়, মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম ঘাসের বীজগুলো যেন ওরা দ্রুত পেয়ে যায়। আমার জীবনের এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে থাকবে কুতুপালং।
...

তামান্না ইসলাম: ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।