অস্ট্রেলিয়ার বৃদ্ধাশ্রমে নির্যাতনের অভিযোগ

মার্গারেট হেফারন্যান
মার্গারেট হেফারন্যান

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এক বৃদ্ধাশ্রমে একজনকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ৮২ বছর বয়সী মার্গারেট হেফারন্যান নামের এই বৃদ্ধার পরিবার এমনটাই দাবি করছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেওয়া কয়েকটি ছবিতে বৃদ্ধার মুখ ও বাহুতে বড় বড় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গারেটের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, মার্গারেট বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে এ আঘাত পেয়েছেন। আর উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পুলিশ এ অভিযোগের কোনো সত্যতা এখনো খুঁজে পায়নি। ৮২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা একজন স্মৃতিভ্রংশের রোগী হওয়াই তিনি এ ঘটনার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি। তবে এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে তোলপাড় হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনার আগে অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রমের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়। এর মধ্যে একটিতে দেখা যায়, বৃদ্ধাশ্রমের একটি শয়ন কক্ষে এক বৃদ্ধের পরনের জামা ধরে টানাটানি করছেন একজন পুরুষ নার্স। এরপর নার্সটি কক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি জুতা হাতে ফিরে আসে এবং জোরালোভাবে জুতা দিয়ে ওই বৃদ্ধকে আঘাত করে। আঘাতের একপর্যায়ে ওই বৃদ্ধ খাট থেকে পড়ে যান।

বৃদ্ধাশ্রমে নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে আসার পর ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণ সদস্যদের রাখা পরিবারেরা। সকলেই এখন তাদের পরিবার প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করছেন। মার্গারেটের ছেলে ডারেল হেফারন্যান বলেন, ‘আমি যখন এই অবস্থায় আমার মাকে দেখি তখন শুধু তাঁকেই দেখি না। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা অন্যান্য প্রবীণদের কথাও আমি চিন্তা করি। আমিও একদিন হয়তো তেমন কোনো বৃদ্ধাশ্রমেই থাকব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রবীণ পরিবারের সদস্যরা যেন জীবনের শেষ সময়ে একটু যত্নে থাকেন সে জন্য বৃদ্ধাশ্রমে রাখা হয়। যেন তারা সঠিক সেবা পান। তবে এখন সেখানেও কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না।’ সরকারকে এ বিষয়ের প্রতি আরও বেশি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান ডেরাল।