শিক্ষা, শিক্ষক ও একটি জাতির গল্প-তিন

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

আমি যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র তখন স্কুলে বনভোজনের একটা উদ্যোগ নেওয়া হয় বহু বছর পরে। এটা ২০০০ সালের কথা। সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে খুব আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তুললাম। কিন্তু আমাদের হতাশ করে দিয়ে, শিক্ষক রাজনীতির জাঁতাকলে আমাদের এই স্বপ্নকে পিষ্ট করে দিলেন কয়েকজন শিক্ষক। এমন অবস্থাতয় আমরা ৩০ জনের মতো ছাত্র মিলে নিজেদের মতো করে একটি বনভোজনের আয়োজন করলাম। লক্ষ্য একটাই ছিল, তা হলো যেহেতু এ বছরই আমাদের স্কুলজীবনের সমাপ্তি হবে সেহেতু অন্তত স্কুলজীবনে একটা পিকনিকে গিয়েছি বলতে পারা।

দুঃখজনকভাবে সত্য, মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষক এ ঘটনাটিকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন আখ্যা দিয়ে তারা আমাদের মেরেই ক্ষান্ত হলেন না, অভিশাপ দিলেন আমরা এই তিরিশজন এসএসসি পরীক্ষাতে ফেল করব। ছোট্ট বয়সে এমন অভিশাপের ফলাফল আশঙ্কা করে খুব মন খারাপ হলো। এমন সময় ক্লাসে এলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোফাজ্জল স্যার। তিনি আমাদের দেখেই বুঝলেন আমরা সবাই বিষয়টি নিয়ে খুব আতঙ্কিত। স্যার বললেন, ‘আরে পাগল তোদের কিছুই হবে না, আমরা বেশির ভাগ শিক্ষকই তোদের এই কাজের প্রশংসা করি, আর তোদের জন্য দোয়া করি। কলেজে ভর্তি হলে আদর্শ গ্যাস ও বাস্তব গ্যাস নামক একটি বিষয় পড়বি। এই আদর্শ ও বাস্তব গ্যাসের মতোই বাংলাদেশে দুই ধরনের শিক্ষক আছে। আদর্শ শিক্ষক, যে শিক্ষকের অভিশাপ মানে তোর জীবন আসলেই ধ্বংস। আর বাস্তব শিক্ষক, যারা আসলে আমাদের নষ্ট নিয়মনীতি ও দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে শিক্ষক হয়ে বসেন কিন্তু আচরণে এরা বড়জোর অন্য কোনো চাকরিজীবী হতে পারেন, কিন্তু এদের শিক্ষকতা পেশার অংশ না ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। এদের অভিশাপ নিয়ে তোদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

এরপরে মেফাজ্জল স্যার আদর্শ শিক্ষকের অভিশাপ কত ভয়াবহ তা বোঝানোর জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ দেন। লেখা সংক্ষেপ করার জন্য তা আর উল্লেখ করলাম না। তবে এইটুকু বলে রাখি, ২০০১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আমাদের স্কুল জেলাতে প্রথম হয়। এই ভালো ফলাফলধারীদের মধ্যে ওই ৩০ জন অন্তর্ভুক্ত ছিল! এই আলোচনা থেকে এইটুকু স্পষ্ট, সমাজে দুই ধরনের শিক্ষক বিদ্যমান আর তা হলো আদর্শ ও বাস্তব। তবে এই আদর্শ শিক্ষক আদর্শ গ্যাসের মতো অলীক বস্তু নন, বরং তারা আমাদের মাঝেই বিদ্যমান! যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই জাতি আজও মেরুদণ্ডকে হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সোজা করে রেখেছে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা দিতে পারছে কিনা তা সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়।

ফিরে আসি আমাদের সেই আমে। যাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একটি নির্দিষ্ট আকার দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখানে সেই আমটি অন্তত পাঁচ বছর অতিবাহিত করবে। এই সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো তার গঠন, আকার কিংবা উপাদানে কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করে অতি যত্ন সহকারে পুড়িয়ে কলেজে পাঠানোর জন্য তৈরি করা। কারণ একবার পোড়ানো হয়ে গেলে কলেজের শিক্ষকদের পক্ষে কাঁঠালকে আম বানানো অসম্ভব। উপরন্তু কলেজের শিক্ষকেরা সময় পান মাত্র দুই বছর। যা এমন বেসিক কাজ করার জন্য একেবারেই অপ্রতুল। একই সঙ্গে সিস্টেমের করা বিভিন্ন অপরিণামদর্শী নিয়মও এই দুই স্তরের শিক্ষা ও শিক্ষকতাকে সরাসরি বাধাগ্রস্ত করে। এ কথার সপক্ষে দুটি উদাহরণ দেব। এর একটি আমার শিক্ষার্থী থাকাকালে। আরেকটি আমি শিক্ষক থাকাকালের। শুধু একটি ফ্যাক্টর বলি, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে ফলাফল না ভেবেই হঠাৎ করেই কোনো নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া। যেমন গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ এবং এর চেয়ে ভয়াবহ হলো সৃজনশীল নামক গোদের ওপর বিষফোড়া বসানো। প্রথমটির শিকার হয়েছিলাম আমরা। আর দ্বিতীয়টির শিকার হয়েছিল পরবর্তী বছরের শিক্ষার্থীরা।

গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয় ২০০১ সালে। আমরা এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেওয়ার পরে জানতে পারি আমাদের ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে। কী তার ভিত্তি বা কী হবে ফলাফল এটা আমাদের সম্মানিত শিক্ষকেরাও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনেও বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সব থেকে ভয়াবহ হয়েছিল এইচএসসির ক্ষেত্রে। শিক্ষকেরা গড়পড়তা সাধারণত ৬০ নম্বর দিয়ে অভ্যস্ত। অথচ ৬০ মানে ‘বি’ বা গ্রেড পয়েন্ট ৩.০। সেই শিক্ষকেরা কীভাবে ৮০ নম্বর দেবেন? এই টানাপোড়েনে আমাদের বরিশাল বিভাগে ২০০৩ সালে কোনো ‘এ+’ই পেল না! আর ৪.৭৫-৩.০ পেল মাত্র প্রায় ৩৮৫ জন শিক্ষার্থী! এর দুই তিন বছর পর থেকে দেশে ‘এ+’এর বাম্পার ফলন শুরু হলো! আমরা পড়লাম এক মহা ফাঁপরে। এই ফলাফল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাতে ৯৪-১০৫ (১২০-এ) পর্যন্ত পেলেও চাকরির ক্ষেত্রে এই দুই বছরের জুনিয়রদের কাছে আমাদের এখনো বিপাকে পড়তে হয়। কারণ চাকরিদাতারা জানেনই না কিংবা জানতেই চান না যে ‘এ+’ পেয়েও যারা ঢাবি ভর্তি পরীক্ষাতে ফেল করে সেই সকল ব্যাচের সঙ্গে ২০০১ ও ২০০৩ ব্যাচকে গুলিয়ে ফেলা অন্যায়। অধিকন্তু, এই সমস্যা হবে ভেবেই আমরা ২০০১-এর এসএসসি ও ২০০৩-এর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচ আন্দোলন শুরু করলাম। এই আন্দোলনের ফলে সরকার থেকে আমরা প্রজ্ঞাপনও পেলাম ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩.০ মানেই প্রথম শ্রেণি! কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই প্রজ্ঞাপন কাগুজে অর্ডার হিসেবেই আজও ফাইল বন্দী। চাকরিদাতারা তাদের মর্জি মাফিক প্রথম শ্রেণি নিরূপণ করে আমাদের ব্যাচকে একের পর এক পরিহাসের পাত্র করে রেখেছে। এই অব্যবস্থাপনার বলি হওয়ার জন্য দায়ী কে? নিশ্চয়ই শিক্ষকেরা নন?

অপরদিকে, আমি শিক্ষক থাকাকালে হঠাৎ ঘোষণা এল, সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন ও পড়াশোনা হবে। তড়িঘড়ি করে শিক্ষকদের ট্রেনিং করানো শুরু হলো। এমন ট্রেনিংয়ে একবার আমার দ্বিতীয় হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু এই ট্রেনিং থেকে সনদ প্রাপ্তির আনন্দের চেয়ে ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়া ঢাকার বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয় থেকে আসা আমার কলিগদের অবস্থা দেখে আমি আতঙ্কিত হয়েছি বহুগুণে। খোদ ঢাকা শহরের নামকরা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকেরা সৃজনশীল কী তা বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একই সঙ্গে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে উদ্দীপকের সঙ্গে প্রশ্নের আর প্রশ্নের সঙ্গে উদ্দীপকের মিল আনতে অনেকেরই ত্রাহি অবস্থা হয়ে যাচ্ছিল! এই অবস্থা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগল, তাহলে বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খাসের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমির মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়াইনঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিংবা হাওর এলাকার দুর্গম বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের কী অবস্থা! কীভাবে এই সব স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ নতুন অলীক বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হবে? এরা তো সবাই ফলাফল খারাপ করবে। অথচ চাকরি ক্ষেত্রে এদের মোকাবিলা করতে হবে এই সেন্ট যোসেফ, হলিক্রস কিংবা ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের!

কত বড় অন্যায় আচরণ হয় আমাদের এই গ্রামের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। যদিও কোনো এক দৈববলে বর্তমানের শিক্ষার্থীরা ‘এ+’ অনেকেই পেয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও কী এই শিক্ষার্থীরা খুব বেশি কিছু শিখতে পেরেছে এই সৃজনশীলতা নামক পদ্ধতির বদৌলতে? আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখিনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মান নিম্নমুখী হলেও এরা সেই পরীক্ষাতে ৪৮ অর্থাৎ পাস নম্বর তুলতে হিমশিম খাচ্ছে! এখানে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলে এই সৃজনশীলতার নামে ব্যয় করা অর্থ থেকে কী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশাতে সংযুক্ত করতে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে সত্যিকারের সৃজনশীলতার চাষ করা যেত না?

এ তো গেল আমাদের নীতিনির্ধারকদের অপরিণামদর্শী বোঝা চাপানোর বিষয়। এমন এক পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি শিক্ষক হতে আগ্রহী নন তাকে শিক্ষক হতে বাধ্য করা, কিংবা অর্থ বা রাজনৈতিক আনুকূল্যের বিনিময়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের অবস্থা কী? তারা কী এই পরিবর্তিত পাঠ্যবই কিংবা পদ্ধতিতে পাঠদানের যোগ্যতা রাখেন? যদি না রাখেন তাহলে আমরা আমাদের ওই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যে সর্বনাশ করছি তা পূরণ করার মতো ক্ষমতা কী আমাদের কলেজগুলোতে আছে? আমি যদি কোনো এক কলেজের কথাই বলি, সেখানে 1-মিথাইল পেন্টেনকে হেক্সেনের সমান শেখানো হয়েছে, যা আসলে n-হেক্সেনই! অপরদিকে পদার্থ বিজ্ঞানের S = (১) এবং (২) এর প্রতিপাদন ঝাড়া মুখস্থ করানো হয়েছে। অথচ এই দুই প্রমাণেই আমরা সমীকরণে থেকে ১ এবং ২ সমীকরণে যেই রাশিটি অনুপস্থিত [১ এর ক্ষেত্রে এর মান এবং ২ এর ক্ষেত্রে এর মান] সেই রাশির মান বসিয়ে দিই তাহলেই কিন্তু প্রমাণ হয়ে যাবে! এখানে মুখস্থ করণের আর মুখস্থ বিদ্যা ভুল করে পুরো পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষাকে বিভীষিকাতে রূপান্তরের কোনো মানে নেই! অন্য বিষয়গুলোর এর চেয়ে ভালো কোনো অবস্থা কিনা তা পাঠকই বিবেচনা করবেন। এই হলো আমাদের উপজেলা সদরের কলেজগুলোর একটি আপেক্ষিক অবস্থা!

ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো

এমন অবস্থার কারণ কী? আমার পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলে অন্যতম একটি মূল কারণ যা জানতে পেরেছি তা হলো, শিক্ষকদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান না দেওয়া। সমাজে তাদের সম্মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে মেধাবীরা এই পেশাতে আগ্রহী না হয়ে হয়তো পুলিশের এএসআই কিংবা বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরিতে যাচ্ছেন অথবা কোনো ব্যাংকে চাকরি করে নিজের আর্থিক সচ্ছলতা ও সম্মান নিশ্চিত করছেন। এ কথা অনস্বীকার্য, একজন মেধাবী কখনো নিজেকে ওই এলাকার স্বল্পশিক্ষিত জনপ্রতিনিধির কাছে হেয় করতে চাইবেন না। অথচ এখন আমাদের বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিতে স্বল্পশিক্ষিতদের দাপট চোখে পড়ার মতো! অপরদিকে, সামাজিক অবস্থানে শিক্ষকেরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছেন। নেই কোনো ক্ষমতা এবং বিসিএস ক্যাডার শিক্ষক ছাড়া অন্যদের মহার্ঘ ভাতা কিংবা বাড়ি ভাড়ার কথা বলে জাতিকে লজ্জা দিতে চাচ্ছি না।

এই দুই ফ্যাক্টর মাধ্যমিক স্কুল ও এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকের মান দিন দিন ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। অযোগ্য, প্রভুভক্ত ও চাটুকারদের দখলে চলে যাচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ দুই শিক্ষকতা পেশা। মেরুদণ্ডের ডিস্ককে সঠিকভাবে চেঁচে পোড়ানো তো দূরে থাক শহরের স্কুল কলেজের শিক্ষার মানের সঙ্গে তাল মেলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফলাফল অঞ্চল ভেদে স্কুল একেক মানের ও একেক মাপের ডিস্ক তৈরি হচ্ছে হরহামেশাই। কিছুদিন হয়তো আমরা কাকতালীয়ভাবে কিংবা অল্পস্বল্প যে কজন আদর্শ শিক্ষক আছেন তাদের বদৌলতে যে সকল ভালো ডিস্ক তৈরি হচ্ছে তাদের দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নেব। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে এমন সঠিক আকৃতির ডিস্ক সদৃশ্য মেধাবীরা যখন বিশ্বের অন্য দেশে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে দলে দলে চলে যাবেন তখন (যা এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গেছে) এই শূন্যতা পূরণের কোনো উপায় কী আমাদের আছে? আমরা কি মনে করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুন্দর কুঠার নিয়ে সম্মানিত যে শিক্ষকেরা বসে আছেন তারা এই ১২ বছরের জঞ্জাল পাঁচ-ছয় বছরে নিমেষেই দূর করে দেবেন? আপনি কি তা মনে করেন? জানাতে ইমেইল করতে পারেন নিচের ইমেইল ঠিকানাতে। আমাদের কথা বলব পরবর্তী পর্বে।
...

শেখ মাহাতাবউদ্দিন: প্রাক্তন শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পোষ্টডক্টরাল গবেষক, হেনরি ফোর্ড হসপিটাল, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র।
ইমেইল: <[email protected]>