বাংলাদেশিদের মধ্যে ভিন্নমাত্রার গর্ববোধ তৈরি হয়েছে

উন্নয়ন মেলায় রেজিনা আহমেদের (সামনের সারিতে বাঁ থেকে পঞ্চম) সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা
উন্নয়ন মেলায় রেজিনা আহমেদের (সামনের সারিতে বাঁ থেকে পঞ্চম) সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা

মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে পোর্ট লুইসে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ উন্নয়ন মেলা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে গত শুক্রবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এ মেলা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে নয় বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে’ প্রদর্শন করা হয়। এরপর দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। পরে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময়ে হাইকমিশনার উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, এ উন্নয়ন মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের সময়ে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সাফল্যগাথা, রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা। তিনি আরও বলেন, এ মেলা অব্যাহত উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঈপ্সিত দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করবে।

পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনাকালে রেজিনা আহমেদ বাংলাদেশের গত এক দশকের উন্নয়নের ওপর আলোচনা করেন। উন্নয়নের প্রেক্ষিত সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাহসী ও দূরদর্শী উন্নয়নকৌশল নিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক প্রগতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ উচ্চ মর্যাদায় আসীন হয়েছে। ফলে বাংলাদেশি বিশেষত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভিন্নমাত্রার গর্ববোধ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়

রেজিনা আহমেদ প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের এ উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদেরও নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে দেশের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে পোর্ট লুইসের বাংলাদেশ মিশন প্রাঙ্গণ কিছু সময়ের জন্য এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল।

অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি