সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা
গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সরকারের অর্জনসমূহ প্রবাসী ও বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার জন্য চলমান উন্নয়ন মেলার সঙ্গে মিল রেখে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার (৭ অক্টোবর) এ মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার শুরুতে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে তিনি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেগুলোর প্রতি আলোকপাত করেন। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সরকারের প্রচেষ্টা ও সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। হাইকমিশনার সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে বিশেষ করে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান রাখার আহ্বান এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এরপর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর পরিকল্পনা, পরিচালনা ও পরিবেশনায় ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমজীবীরা। বাংলাদেশি শ্রমজীবীদের নিয়ে গঠিত শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে আগত দর্শক-শ্রোতারা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের প্রশংসা করেন। প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমজীবীদের সংগঠন ‘সিঙ্গাপুর বাংলা সাহিত্য পরিষদ’ মেলার একটি স্টলে বাংলাদেশি খ্যাতনামা কবি-লেখকদের বই প্রদর্শন করে।
মেলা উপলক্ষে হাইকমিশন প্রাঙ্গণ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পোস্টার দ্বারা সজ্জিত করা হয়। এ ছাড়া, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণী সংবলিত লিফলেট অতিথি-দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিভিন্ন স্টলে বাংলাদেশি হস্তশিল্প, কারুপণ্য, রপ্তানি পণ্য, দেশীয় খাবার, বাংলা বই, পর্যটন সংক্রান্ত পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি অতিথির উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। উপস্থিত সকলেই হাইকমিশনের এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি-দর্শনার্থীদের বাংলাদেশি খাবার সহযোগে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি