ভিয়েতনামে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা

সম্মেলনে বক্তব্য দেন সামিনা নাজ
সম্মেলনে বক্তব্য দেন সামিনা নাজ

ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাস উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদ্‌যাপন করেছে জাতীয় উন্নয়ন মেলা। এ উপলক্ষে রাজধানী হ্যানয়ে প্যান প্যাসিফিক হোটেলে গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) এক বিশেষ সম্মেলন ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এর সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। এ সময় কূটনৈতিক কোরের ডিন ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা, স্বাগতিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত ছিলেন।

সামিনা নাজের সঙ্গে প্রবাসীরা
সামিনা নাজের সঙ্গে প্রবাসীরা

উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে সম্মেলন ও প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ওপর বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙিন বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও উদ্যোগের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শনীর আয়োজন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর বর্তমান সরকারের সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন ও সাময়িকী প্রদর্শন করা হয়।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর বর্তমান সরকারের সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন ও সাময়িকী
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর বর্তমান সরকারের সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন ও সাময়িকী

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহীত সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে অর্থনীতি, জীবনযাত্রার মান, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সরকারের প্রচেষ্টা ও সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা ২০২১ ও ২০৪১ এর বিষয়েও আলোকপাত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের অতি সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি