সিউলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবিদা ইসলাম, কোসেটার সভাপতি ও অন্যরা
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবিদা ইসলাম, কোসেটার সভাপতি ও অন্যরা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও কোরিয়ান সেকেন্ডারি স্কুল ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কোসেটা) সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোরিয়ার নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে তাঁর অবদান তুলে ধরাই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

গত বুধবার (১০ অক্টোবর) দূতাবাসের হলরুমে বেলা ২টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সিউলের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া কোসেটার সভাপতি Yu Cheol ও শিক্ষিকা Park Hyun Ju অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠান আয়োজনের কিছুদিন আগে পূর্ব নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্মকাণ্ড বিষয়ক বিভিন্ন বই, প্রবন্ধ ও অনলাইন লিংক সরবরাহ করা হয়। যাতে করে তারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ এবং দূতাবাসের এই আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, এই মহান নেতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বাংলাদেশ গঠনে তাঁর অবদান সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও অনুপ্রাণিত হবে এবং বন্ধু প্রতিম এই দুটি দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কের সেতু বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম
শুভেচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বাণিজ্যবিষয়ক কাউন্সেলর অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে এ ধরনের আয়োজনে কোসেটার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম)।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে পর বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ক একটি তথ্যবহুল উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতিসহ বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও অবদান তুলে ধরেন। এই উপস্থাপনা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। কোসেটার সভাপতি বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ রকম আয়োজনে দূতাবাসের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ সম্পর্কিত স্বরচিত ১৩টি রচনা দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করে।

সবশেষে প্রামাণ্যচিত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক উপস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি